এক গ্রাহকের নামে ১৫ এর অধিক সিম নিস্ক্রিয় করার সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ থেকে বাড়িয়ে অতিরিক্ত সিম বন্ধের সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এক নির্দেশনায় বিটিআরসি জানায়, গ্রাহক প্রতি ১৫টির বেশি সিম নেওয়া যাবে না। ১৫টির বেশি সিম থাকলে ৩১ ডিসেম্বরের পর সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে সর্বশেষ একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম নেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তারও আগে পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধন নিষিদ্ধ ছিল।
অপারেটরদের কাছে পাঠানো গত ৪ ডিসেম্বর (রোববার) বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে গ্রাহক প্রতি পোস্ট-পেইড, প্রি-পেইড নির্বিশেষে সর্বোচ্চ সিম/রিম (সব অপারেটর মিলিয়ে) সংখ্যা ১৫টি নির্ধারিণ করা হলো। ১৫টির অতিরিক্ত সিম/রিম অবৈধ বলে গণ্য হবে।
২০১৬ সালের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহক প্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ আগস্ট এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। এরপর গত বছরের ২৪ অক্টোবর ১৫টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সব গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসির কাছে রক্ষিত আছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কার কাছে কতটি সিম রয়েছে। এতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।