৫ জানুয়ারি ঘিরে আবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি গত তিন বছরের মতো দিনটিকে ঘিরে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দিবসটিকে গণতন্ত্রের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করতে সারা দেশে শোভাযাত্রা-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে দিনটিকে গণতন্ত্র ‘হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। পাল্টাপাল্টি এমন কর্মসূচি নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতি। দুই দলের এমন কর্মসূচিতে যে কোনো ধরনের সংঘাতের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪র্থ বর্ষপূর্তির দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়ের পর থেকে প্রতিবছর দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
অন্যদিকে, ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশসহ সারাদেশের জেলা-মহানগর এবং উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে দলটি এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়াতে চাইছে না। ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সমাবেশের অনুমতি না পেলে প্রতিবাদে রাজধানীর থানা-ওয়ার্ডগুলোয় কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে পারে। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে করা হতে পারে একটি সংবাদ সম্মেলন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে সংঘাত এড়িয়ে ঢাকার বাইরেও ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংসদীয় আসনে এ কর্মসূচির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি অনুমতি না পেলেও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা মহানগরীতে কালো পতাকা হাতে বিএনপি সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার নেতারা।
