আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী লিভারপুল থেকে ফিলিপ্পো কুতিনহোকে ন্যু ক্যাম্পে নিতে সফল হয়েছে বার্সেলোনা। প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইউরাে ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে এই ব্রাজিলিয়ান তারকার দলবদলে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি।
কুতিনহোকে ধরে রাখতে কম চেষ্টা করেনি লিভারপুল। যাহােক, কুতিনহো এখন বার্সার। তাকে ৭ নম্বর জার্সিতে দেখা যেতে পারে। বার্সার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি সাইনিং কুতিনহো। এটি নতুন ব্রিটিশ ট্রান্সফার রেকর্ডও হতে পারে। বিশ্বের ‘তৃতীয়’ দামি খেলোয়াড় প্রতিভাবান এই প্লে-মেকার।
এদিকে স্বপ্ন পূরণ হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে কুতিনহোর খেলাটা অনেকটাই শঙ্কার মুখে! ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরের এক মৌসুমে একজন খেলোয়াড়ের দু’টি ক্লাবের হয়ে খেলার নিয়ম নেই।
গত বছরের আগস্টে ট্রান্সফার ফি’র ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (২২২ মিলিয়ন ইউরো) গড়ে চার বছরের বার্সা অধ্যায়ের ইতি টেনে পিএসজিতে পাড়ি জমান কুতিনহোর স্বদেশী নেইমার। নেইমারকে হারিয়ে উদীয়মান ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড ওসমান ডেম্বেলেকে আনতে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কাতালানদের গুণতে হয়েছে প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ইউরো। যেটি ভেঙে দিলেন কুতিনহো।
গত বছর ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে প্রত্যাবর্তন করেন পল পগবা। এতোদিন এটিই ছিল ব্রিটিশ ট্রান্সফার রেকর্ড। নেইমারের পেছনে অবস্থান করছেন ক্লাব সতীর্থ কাইলিয়ান এমবাপ্পে। ধারের চুক্তিটি মৌসুম শেষে কাগজে-কলমে ১৮০ মিলিয়ন।
গত সামার ট্রান্সফার উইন্ডোতে ২৫ বছর বয়সী কুতিনহোকে পেতে বার্সার তিনটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়। যত বড় অঙ্কই বিড করা হোক, ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়বে না বলে অনড় অবস্থান দেখিয়েছিল লিভারপুল। এমনকি স্বয়ং কুতিনহোর ট্রান্সফারের আবেদনেও সাড়া দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অনেক নাটকীয়তার পর শীতকালীন দলবদলের বাজারে আগের অনমনীয়তা থেকে সরে এসেছে ইংলিশ পরাশক্তিরা। তাতেই কাঙ্ক্ষিত বার্সার জার্সি গায়ে জড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে মাঝমাঠের এই খেলোয়াড়ের।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে পেশাদার ফুটবলের প্রথম ক্লাব ইন্টার মিলান থেকে মাত্র ৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন কুতিনহো। অল রেডসদের জার্সিতে ২০১ ম্যাচে গোল করেছেন ৫৪টি তিনি।