থ্রি-জির রেশ কাটতে না কাটতেই চালু হতে যাচ্ছে ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই গ্রাহকরা এই সেবা পাবেন। এতে মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইল ইন্টারনেট সেবার মধ্যে ফোর-জি এখন সর্বশেষ প্রযুক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত থ্রি-জি প্রজুক্তির পরের ধাপ এটি।
এ-উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ক্লাবে হয়েছে ফোর-জি চালুর তরঙ্গ নিলাম। বিটিআরসি’র উদ্যোগে এই নিলামে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক অংশ নিয়েছে। ফোর-জির জন্য রবি ও টেলিটকের কাছে যথেষ্ট তরঙ্গ থাকায় তারা নিলামে অংশ নিচ্ছে না। নিলামের পরে ফোর-জি চালুর জন্য সময় থাকবে এক সপ্তাহ। ফলে মোবাইল ফোন অপারেটররা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফোর-জির লাইসেন্স পাবেন। পরদিন থেকেই তারা গ্রাহকদের নতুন এই সেবা দিতে পারবেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত থ্রি-জি প্রজুক্তির পরের ধাপ এটি। ২০০৯ সালে নরওয়ে ও সুইডেনে প্রথম এই সেবা চালু হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই ফোর-জি সেবা চালু আছে। সেই দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশে এটি অনেক পরেই এল।
মোবাইল ফোন অপারেটররা আরও বলেছে, ফোর-জি প্রযুক্তি উন্নত ও সাশ্রয়ী বলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও কম হবে। তবে এই প্রযুক্তির উপযোগী মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোনের স্বল্পতা এ সেবা প্রসারে বড় বাধা। অপারেটরদের হিসাবে বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোনসেটের ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন। এর মধ্যে ফোর-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন ১০ শতাংশের কম। বিটিআরসির হিসাবে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। মোবাইলে এর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি।