ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা।
বুধবারের (১৪ মার্চ) ম্যাচটি ছিলো লিওনেল মেসিময়। ক্যারিয়ারে নিজের দ্রুততম গোল করে মাত্র ২ মিনিট ৮ সেকেন্ডে কাতালানদের এগিয়ে নেন এই আর্জেন্টাইন জাদুকর। এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটে ওসমান দেম্বেলেকে দিয়ে করান আরো একটি গোল। মেসি নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে। এই ম্যাচে গোল পাননি বার্সার আক্রমণভাগের আরেক ত্রাস লুই সুয়ারেজ। নিজে গোল না পেলেও মেসির দুই গোলে সহযােগিতা করেছেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম লেগে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে নামে বার্সেলোনা-চেলসি। প্রথম লেগে দুর্দান্ত খেলেছিলাে চেলসি। এক গোলে এগিয়ে থেকেও রক্ষণভাগের ভুলে ম্যাচের শেষে দিকে গোল হজম করতে বাধ্য হয়। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন মেসি।
ফিরতি লেগ যেন মেসি সেখান থেকেই শুরু করলেন! তৃতীয় মিনিটে সুয়ারেজের ফিরতি পাস পেয়ে বাইলাইনের কাছ থেকে ডান পায়ে শট নেন এই ফুটবল জাদুকর। বল গোলরক্ষকের দুপায়ের মাঝ দিয়ে চলে যায় জালে।
প্রথম গোল হজমের পর গুছিয়ে ওঠে চেলসি, পাল্টা আক্রমণে বার্সার রক্ষণভাগ বেশ কয়েকবার কাঁপিয়ে তুলেছিলেন হ্যাজার্ড-উইলিয়ানরা। ১২ মিনিটে দূরপাল্লার শটে বার্সা গোলরক্ষকের প্রথম পরীক্ষা নেন উইলিয়ান। যাহােক, সতর্ক টের স্টেগান দারুণ ক্ষিপ্রতায় সেই শট প্রতিহত করেন। এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটে বার্সার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম গোল করেন ফরাসি স্ট্রাইকার দেম্বেলে।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলাে চেলসি। তবে তা প্রথম লেগের মতোই ব্যর্থ হয়েছে গােলপোস্টে লেগে। প্রথম লেগের মতো ফিরতি লেগেও চেলসির দুইটি আক্রমণ বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। বুধবারের ম্যাচে চেলসির কোচ ও খেলোয়াড়দের একটি জোরালো পেনাল্টির আবেদন রেফারি নাকচ করে দিলে হতাশা হয়েছে চেলসি সমর্থকরা।
