loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

আর্থিক জরিমানা হলো সাকিব ও সোহানের


আর্থিক জরিমানা হলো সাকিব ও সোহানের

আম্পায়ারের ভুল থেকে অপ্রত্যাশিত ঘটনার সূত্রপাত হওয়ায় পরে ম্যাচ-নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়িয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবকে শুধুমাত্র ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।

‘নো বল’ ইস্যুতে শুক্রবার (১৬ মার্চ) কলম্বোতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজের ফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচের শেষ ওভারে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসুরু উদানার প্রথম দুই বল বাউন্সার হওয়ার পর টি-টোয়েন্টির নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ারের ‘নো বল’ কল করার কথা। ম্যাচ জেতানোর নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লেগ-আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ‘নো বল’-এর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের প্রতিবাদের পরে মূল আম্পায়ারের সাথে আলোচনা করে তা তুলে নেন। এ নিয়েই যত বিপত্তি। প্রথম বলটি আম্পায়ার বাউন্সার ডেকেছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠের বাইরে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাংলাদেশের মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দলকে অবিস্মরণীয় জয় উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুই বল ডট হওয়ার পর চার বলে দরকার ছিল ১২। শেষ দুই বলে ছয়। ছক্কা হাঁকিয়ে এক বল হাতে রেখে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। ১৮ বলে ৪৩ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন তিনি।

আজ শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ভারত। অধিনায়ক সাকিবের সামনে নিষেধাজ্ঞার একটা হুমকি ছিল। স্বস্তির খবর, তেমনটা হয়নি। আম্পায়ারের ভুল থেকে ঘটনার উৎপত্তি হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। তাই জরিমানার অঙ্কটাও বেশি হয়নি। সাকিবকে জরিমানার সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান সোহান উত্তেজনার মুহূর্তটিতে লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ায় তাঁর ওপরও আরোপ করা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সাকিব ও সোহান নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-১ এর আর্টিক্যাল ২.১.১ (সাকিব) ও ২.১.২ (সোহান) ভঙ্গ করার সর্বোনিম্ন শান্তি খেলোয়াড়কে অফিসিয়াল তিরস্কার। সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং একটি বা দু’টি ডিমেরিট পয়েন্ট।

Loading...