loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

একজন নাজিয়া হাসান..


একজন নাজিয়া হাসান..

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল

‘ডিস্কো দিওয়ানে’ কিংবা ‘আপ জ্যায়সা কোয়ি’ গানগুলোর সাথেতো কমবেশী আমরা সবাই পরিচিত। তবে গানগুলোর আসল গায়িকাকে বোধহয় আমরা অনেকেই চিনিনা। তার প্রতিভা ও জনপ্রিয়তা সমগ্র পাকিস্থান এমনকি ভারতে এতটাই ছিলো যে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ফিল্মফেয়ারে সেরা গায়িকার পুরস্কার জিতে বলিউডকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের একজন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা গায়িকা নাজিয়া হাসানের জন্ম ১৯৬৫ সালে পাকিস্থানের করাচিতে একটি পাঞ্জাবি পরিবারে। তিনি একাধারে ছিলেন একজন পপ শিল্পী, আইনজীবী এবং সমাজকর্মী। আজ এই গায়িকার ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী।

ভাই বোন নাজিয়া হাসান ও জোহেব হাসান জুটির স্টেজ মাতানো পপ গানগুলো দিয়েই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌছেন নাজিয়া হাসান। নাজিয়ার ক্যারিয়ারে আসল জনপ্রিয়তা আসে ফিরোজ খানের পরিচালনা ও অভিনয়ে গাওয়া ‘কুরবানি’ ছবির একটি গান দিয়ে। তার গাওয়া ‘আপ জ্যায়সা কোয়ি মেরি জিন্দেগি মে আয়ে’ গানে পর্দায় পারফর্ম করেছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব নায়িকা জিনাত আমান। এ গানটিই তাকে এনে দেয় সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম পাকিস্থানী হিসেবে ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল প্লেব্যাক অ্যাওয়ার্ড।

নাজিয়া হাসানের বয়স তখন ১৫ হয়েছে সবে। ভারতে ফিরোজ খানের দেয়া এক পার্টিতে নাজিয়াকে দেখেছিলেন সে সময়কার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীত পরিচালক বিদধু। সেখান থেকেই নাজিয়ার উত্থান শুরু। বিদধুর কম্পোজিশনে কুরবানী ছবিতেতো গেয়েছিলেন-ই, দুজন মিলে প্রকাশ করেছিলেন একটি অ্যালবাম যার নাম ‘ডিস্কো দিওয়ানে’।  অ্যালবামটি মুক্তির দিনই বিক্রি  হয় প্রায় এক লাখের বেশী কপি। কেবল বলিউডে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়ায় এমনকি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জেও অ্যালবামটি পায় তুমুল জনপ্রিয়তা।

অ্যালবামটির এমন সাফল্যের পর নাজিয়া ও জোহেবকে নিয়ে একটি ছবি বানানোর কথা ভাবেন বিদধু। তবে ছবিটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েও এতে গান গাওয়ার প্রস্তাবটি লুফে নেন দুজনই। ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘স্টার’ নামের ছবিটিতে সব মিলিয়ে মোট আটটি গান গেয়েছিলেন নাজিয়া ও জোহেব।  বক্স অফিসে ফ্লপ খাওয়া ছবিটির গানগুলো নিয়ে করা তাদের ‘বুম বুম’ অ্যালবামটি আবার দারুণ জনিপ্রিয়তা পায়। ১৯৮৪-এ আসে তার তৃতীয় অ্যালবাম ‘ইয়ং তারাং’। এটা ছিল নাজিয়া-জোয়েবের পাকিস্তানে করা প্রথম অ্যালবাম। অ্যালবামটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছিল ‘আঁখে মিলানে ওয়ালে’ গানটি ও পরবর্তীকালে করা এর মিউজিক ভিডিও।

সঙ্গীত পরিচালক বিদধু

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত নাজিয়া-জোহেব

১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় সিংগার ড্যুয়ো-র গাওয়া চতুর্থ অ্যালবাম ‘হট লাইন’ এবং সবশেষে ‘ক্যামেরা ক্যামেরা’।
১৯৯৫ সালে মির্জা ইশতিয়াক বেগ নামের পাকিস্থানের এক বড় ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন নাজিয়া। ২০০০ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৫ বছরে মৃত্যুবরণ করেন এ কিংবদন্তি। আশ্চর্যের বিষয় হলো মৃত্যুর ঠিক ১০ দিন আগে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয় নাজিয়ার!

নাজিয়া হাসান ও মির্জা ইশতিয়াক বেগ

নাজিয়া মৃত্যুর পর তার ভাই জোহেব নিজেকে একক আর্টিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও খুব একটা পাকাপোক্ত অবস্থানে তিনি যেতে পারেননি।
জনপ্রিয় এই পপ সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সাম্প্রতিককালে বলিউডে একটি ছবি নির্মানের ঘোষনা এসেছে। আর ছবিটিতে নাজিয়ার চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলিউডের হালের সেনসেশন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।

Loading...