লা লিগায় ইসকোর প্রথম ফ্রি-কিক ও কাসেমিরোর দারুন এক গোলে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালিস্ট রিয়াল মাদ্রিদ রবিবার (১৫ এপ্রিল) ২-১ গোলে মালাগাকে হারিয়েছে। এই পরাজয়ে ইসকোর সাবেক ক্লাবটি লিগ-অবনমনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলো।
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে জুভেন্টাসের বিপক্ষে নাটকীয় ম্যাচে রিয়ালকে বাঁচানো ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো এবং গ্যারেথ বেলকে দলের বাইরে রেখেছিলেন কোচ জিনেদিন জিদান। অন্যদিকে মার্সেলো ও টনি ক্রুস ছিলেন বদলী-তালিকায়। মূল একাদশের এই পরিবর্তন সত্ত্বেও সব ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষের মাঠে টানা পঞ্চম গোল তুলে নিতে রিয়ালকে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি।
রোনাল্ডোর অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্প্যানিশ তারকা ইসকো। ২৯ মিনিটে এই প্লেমেকারের বাঁকানো ফ্রি-কিকে মালাগা গোলরক্ষক রবার্তো জিমেনেজ হতভম্ব হয়ে যান। রিয়ালের এটি ছিল ২৫তম প্রায় তৈরী গোল - এক মৌসুমে লা লিগার কোন ক্লাবের জন্য যা সর্বোচ্চ। দ্বিতীয়ার্ধে কাসেমিরোর গোলের সহযোগীও ছিলেন ইসকো। ৬৩ মিনিটে করা এই গোলে লা রোসালেডায় সফরকারীদের জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষের অতিরিক্ত সময়ে দিয়েগো রোলানের গোল মালাগা’র পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে। অবশ্য কাসেমিরোর গোলের আগে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছিলো মালাগা, কেইলর নাভাসকে একা পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ম্যানুয়েল ইটুরা।
টেবিলের তলানিতে থাকা হোসে গঞ্জালেসের দল এখনও নিরাপদ স্থান থেকে ১৪ পয়েন্ট দূরে রয়েছে, হাতে রয়েছে আর মাত্র ৬টি ম্যাচ। অন্যদিকে এই জয়ের ফলে ভ্যালেন্সিয়াকে দুই পয়েন্ট পিছনে ফেলে আবারো পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল।
রোনাল্ডো ও বেল ছাড়া মাদ্রিদ দলের মূল একাদশে কিছুটা বাড়তি দায়িত্ব নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন করিম বেনজেমা। ম্যাচের শুরুতে কয়েকটি আক্রমনও করেছিলেন এই ফরাসী তারকা। ২৩ মিনিটে ইসকোর বাড়ানো দারুন এক থ্রু বলে লুকাস ভাসকুয়েজ তাড়াহুড়া করে শট নিতে গেলে তা ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। কাসেমিরোর ক্রস থেকে বেনজেমার হেডও গোলপোস্ট খুঁজে পায়নি। কিন্তু ২৯ মিনিটে আর ভুল করেননি ইসকো। ২৫ গজ দুর থেকে তাঁর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকেই রিয়াল এগিয়ে যায়। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে ইসকোর এই গোল সমর্থকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিরতির ঠিক আগে ইটুরার শট নাভাসের দুই পায়ের মাঝখানে আটকে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি মালাগার।
বিরতির পরে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে মাঠে নামে মালাগা। আলবার্তো বুয়েনোর মাথা-ছোঁয়ানো বল অল্পের জন্য গোল হয়নি। যাহোক, ৬৩ মিনিটে মালাগা’র সব আশাই কার্যত শেষ করে দেন কাসেমিরো। ২০১৩ সালে মালাগা ছেড়ে রিয়ালে যোগ দেওয়া ইসকো-ই ছিলেন এই গোলের মূল কারিগর। বেনজেমার কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বল পান ইসকো। দারুন এক পাসে পাশে দাঁড়ানো কাসেমিরোকে দিয়ে মৌসুমের পঞ্চম গোলটি উপহার দেন ইসকো। আর এতেই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল।
