ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১১ ম্যাচ গোল করার পর থামলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো; অবশ্য থামেনি রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে গিয়েও জিতে এসেছে তাঁরা। আরও একবার ফাইনালে ওঠার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। বুধবার (২৫ এপ্রিল) সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মার্সেলো আর মার্কো আসেনসিওর গোলে দারুণ এক জয় পেয়েছে রিয়াল। এতে ফাইনালে এক পা দিয়েই রাখলো প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসের সেরা এই দলটি।
নিজেদের মাঠে খেলার শুরু থেকেই আক্রমণে ছিল অবশ্য বায়ার্ন-ই। তাঁদের সামনে ২০ সেকেন্ডেই এসেছিল সুবর্ণ সুযোগ। রিয়াল ডিফেন্ডার দানি কারভালহোর ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন রবের্তো লেভেনদোস্কি। তাঁর বাড়ানো পাস ধরতেই পারেননি ফাঁকায় দাঁড়ানো ফরোয়ার্ড টমাস মুলার।
খেলার ৮ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে বেরিয়ে যান বায়ার্নের মধ্যমণি আরিয়ান রোবেন। তবে তাতেও দম না গিয়ে প্রথম গোল পায় গোল পায় তাঁরাই। হামেস রদ্রিগেজের পাস থেকে আচমকা শটে গোল করেন ডিফেন্ডার জসুয়া কিমিচ।
গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ধাক্কা খায় বায়ার্ন। তাঁরা যেন নেমেছিলো চোটের মিছিল নিয়ে। ৩৪ মিনিটে জেরম বোয়েটাংও রোবেনের মত মাঠ ছাড়েন। এসবের মাঝেও একচেটিয়া প্রাধান্য ধরে রেখেছিলাে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে গিয়ে রিয়ালের স্বস্তি ফেরান মার্সেলো। ডান প্রান্তে কারভালহোর ক্রস বক্সে মধ্যে বাইসাইকেল করতে গিয়ে পা লাগাতে পারেননি রোনালদো। পেছনে বক্সের বাইরে দাঁড়ানো মার্সেলো তা পেয়ে নিখুঁত শটে জালে পাঠিয়ে দেন।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ফের এগিয়ে যেতে পারত বায়ার্ন। ফ্রাঙ্ক রিবেরির শট ঠেকিয়ে দেন কাইলর নাভাস।
বিরতি থেকে ফিরে আরেক গোল পেয়ে যায় রিয়াল। ৫৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণে আসে সাফল্য। লুকাস ভাসকেসের দেওয়া পাস আড়াআড়ি শটে জালে জড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন মার্কো আসেনসিও।
পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ রোনালদো অবশ্য একবার বল জালে জড়িয়েছিলেন। ৭১ মিনিটে গোলের জন্য উল্লাসও শুরু করেছিলেন। তবে বল নিয়ন্ত্রণের সময় হাতে লাগায় রেফারি তা বাতিল করে দেন। যদিও এতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি রিয়ালের। অ্যাওয়ে ম্যাচে বায়ার্নকে ধরাশায়ী করে ফাইনালের পথে নিজেদের এগিয়ে রাখলো তাঁরা।
আগামী মঙ্গলবার রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতে লেগে নামবে দু’দল। বলা বাহুল্য, ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে সেই ম্যাচে বায়ার্নের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন সমীকরণ।
