loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

টপ অর্ডার ব্যর্থতায় হারলো সাকিব-বাহিনী


টপ অর্ডার ব্যর্থতায় হারলো সাকিব-বাহিনী

খেলায় তখন একাদশ ওভার চলছে, বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮০ রান। বোলিংয়ে এলেন রশিদ খান। এসেই পরপর দুই বলে মুশফিকুর রহিম (২০) ও সাব্বির রহমানকে (০) ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাট্রিকের সামনে দাঁড়ালেন। নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেমে তাঁর পরের বলটি বেশ সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলা করলে হ্যাট্রিক-বঞ্চিত হন টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা এই বোলার।

রশিদের হ্যাট্রিক হয়নি ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে টাইগারদের সর্বনাশ প্রায় হয়েই গেছে। ভীষণ এক চাপ তাঁদের ঘিরে ধরেছে। মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে সৈকত সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রশিদ খানের তৃতীয় আঘাতে ২৩ বলে ১৩ রান করে নিজের  ইনিংসের ইতি টানলেন সৈকত।

তখনও বাংলাদেশের সমর্থকেরা মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে। যদি কিছু হয়! না, তিনিও পারেননি। অষ্টাদশ ওভারের চতুর্থ বলে শাপুর জাদরান তাকে ব্যক্তিগত ২৯ রানে উসমান গনির হাতে তুলে দিলে পরাজয়ের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে যায় সাকিবদের। এরপর টেইল-এন্ডাররা একে একে বিদায় নিলে ৬ বল বাকি থাকতেই ১২২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৪৫ রানে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।

অথচ আফগানদের দেওয়া ১৬৭ রান অতিক্রমের লক্ষ্যে খেলতে নামা টাইগারদের এদিনের গল্পটা এমন না-ও হতে পারতো, যদি শুরুতে তামিম  ইকবাল ব্যক্তিগত শূন্য রানে না ফিরতেন। আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাসও। ২০ বলে তাঁর খেলা ৩০ রানের ইনিংসটি আরেকটু বড় হতেই পারতো।

তিন নম্বরে নামা দলপতি সাকিব আল হাসানও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। ১৫ বলে ১৫ রান করে নবীর অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলটি না খেলে উইকেটে থিতু হতেই পারতেন। তাতে আর যাই হোক দল হয়তো এমন চাপের মুখে পড়তো না। যে-চাপ শেষ পর্যন্ত আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যরা। ফলে দিন শেষে হার নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁদের।

নতুন একটি ক্রিকেট-ভেন্যুতে আবারো কী প্রশ্নবিদ্ধ হলো না টাইগারদের টি-টোয়েন্টি খেলার সামর্থ্য?

আফগানদের হয়ে বল হাতে রশিদ খান, শাপুর জহাদরান ৩টি করে, মোহাম্মদ নবী ২টি, মুজিব-উর রহমান ও করিম জানাত ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

রোববার (৩ জুন) ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয় আফগানিস্তান। এর আগে টস জিতে সাকিব আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় আফগানরা।

ব্যাটিংয়ে প্রথম থেকেই রানের চাকা সচল ছিলো তাঁদের। ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৪০ ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ১৮ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই মূলত এই সংগ্রহ পায় টিম আফগানিস্তান। এছাড়া উসমান গনি ২৬, অধিনায়ক আজগার ২৫ ও শফিকুল্লাহ খেলেছেন ২৪ রানের ভালো ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেট নেন রুবেল হোসেন। নবম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ওপেনার ওসমান গনির উইকেট ভেঙে দেন তিনি। দ্বাদশ ওভারে সাকিব তুলে নিয়েছেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের উইকেট। ত্রয়োদশ ওভারে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন জোড়া উইকেট। অষ্টাদশ ওভারে আবু জায়েদ রাহি নিয়েছেন ৫ম উইকেট। শেষ ওভারে ষষ্ঠ উইকেট নেন আবুল হাসান রাজু। একই ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেটও নেন তিনি।

এদিন চার ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন রশিদ খান।

মঙ্গলবার (৫ জুন) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এই মাঠেই লড়বে দুই দল।

Loading...