loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

নাটোরে প্রাণ-এর আম সংগ্রহ শুরু


নাটোরে প্রাণ-এর আম সংগ্রহ শুরু

ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বার, জেলি, আচারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে প্রতিবছরের মতো এবারও আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। ২৮ মে থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে আমের সরবরাহ থাকা পর্যন্ত।

সোমবার নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানায় পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।   

কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হযরত আলী বলেন, চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম কেনার লক্ষমাত্রা নিয়ে আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরায় প্রাণ এর প্রায় ১৬ হাজার চুক্তিবদ্ধ আমচাষীর কাছ থেকে এসব আম নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাক্টরিতে আম প্রবেশের সময় কোয়ালিটি কন্ট্রোলার দ্বারা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তা গ্রহণ করা হয়। প্রথমে আমগুলো পাকা কি-না তা দেখা হয়, পোকা-রোগমুক্ত এবং পঁচা কি-না তা পরীক্ষা করা হয়। এরপর ফরমালিন, ব্রিক্স, পি-এইচসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্যে ল্যাবে পাঠানো হয়। আম নেওয়ার সময় আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করা হয় তা হলো আমের ওজন। ল্যাব টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই কেবল তার আম ফ্যাক্টরিতে প্রসেসের জন্যে নেওয়া হয়। এই আমগুলো ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রাসিং করে পাল্প সংগ্রহ করে তা অ্যাসেপটিক প্রযুক্তিতে সংরক্ষণ করা হয়। এই পদ্ধতির সুবিধে হল হিমায়িতকরণ ছাড়া কমপক্ষে একবছরের জন্য পাল্প নিরাপদ ও স্বাদ অক্ষুন্ন থাকে।  

হযরত আলী বলেন, নাটোরে প্রাণ-এর কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার কারণে কারখানায় সরাসরি প্রায় ৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমের মৌসুমে বাড়তি আরো দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। যার প্রায় ৯০ ভাগ নারী। এছাড়াও কারখানায় আমচাষী ও সরবরাহকারীদের প্রতিষ্ঠানে পরোক্ষ কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়।

প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো: কামরুজ্জামান বলেন, ‘‘আমরা প্রাণ কৃষি হাবের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ আমচাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি। স্বল্পমূল্যে উন্নতজাতের চারা প্রদান, সার, কীটনাশক ব্যবহার, রোপন প্রক্রিয়া ও গাছ থেকে আম সংগ্রহ সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞ ফিল্ড সুপারভাইজারদের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফলে কৃষকদের কাছে থেকে আমরা উন্নতমানের আম পাচ্ছি। অপরদিকে কৃষকরাও আম বিক্রয়ে পূর্ণ নিশ্চয়তা পাচ্ছে”।          

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) জিয়াউল হক ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আব্দুল কাদের সরকারসহ কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...