loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • আর্সেনালকে বিদায় করে সেমিতে বায়ার্ন

  • ‘রাজকুমার’ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার ৭৫ থিয়েটারে

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান


টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৩৪/৮, ২০ ওভার (তামিম ৪৩, মুশফিকুর ২২, রশিদ ৪/১২)
আফগানিস্তান: ১৩৫/৪, ১৮.৫ ওভার (শেনওয়ারি ৪৯, নবী ৩১, মোসাদ্দেক ২/২১)
ফলাফল: আফগানিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রশিদ খান (আফগানিস্তান)
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আফগানিস্তান

স্পিনার রশিদ খানের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো আফগানরা। 

ভারতের দেরাদুনে মঙ্গলবার (৫ জুন) টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে বাংলাদেশ। রশিদ ১২ রানে ৪ উইকেট নেন। জবাবে ৭ বল বাকী রেখেই ম্যাচ ও সিরিজ জয় নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।

আগের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জয়ের লক্ষ্য অতিক্রম করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছে সাকিব-বাহিনী। 

দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জেতেন সাকিব। তবে এবার প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। দলনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেননি বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে নামের পাশে ১ রান করে বাঁ-হাতি পেসার শাপুর জাদরানের শিকার হন লিটন।

ব্যাটিং-এ প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন সাব্বির রহমান। আগের ম্যাচে প্রথম বলেই বিদায় নেওয়া আরেক ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন সাব্বির। মারমুখী মেজাজেই এগোচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু আফগান অফ-স্পিনার মোহাম্মদ নবীর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং ও ফিল্ডিং-এর কাছে আত্মসমর্পন করেন সাব্বির। ৩টি চারে ৯ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তামিমের সাথে ২০ বলে ২৯ রান যোগ করেন সাব্বির।

দলীয় ৩০ রানে সাব্বির ফিরে গেলে উইকেটে তামিমের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। উইকেটের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে তামিমের সাথে রানের গতি বাড়াতে থাকেন মুশি। ফলে বাংলাদেশের বড় স্কোরের পথ মসৃন হতে থাকে। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশ শিবিরে আবারো আঘাত হানেন নবী। ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন মুশফিক।

৭৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশের বড় স্কোরের পথ খোলা ছিলো। কিন্তু শেষ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের বেকাদায় ফেলে দেন টি-২০ ফরম্যাটের শীর্ষ বোলার রশিদ খান।

তামিম-সাকিব-সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেনকে শিকার করে বাংলাদেশকে লড়াই করার পুঁজিও সংগ্রহ করতে দেননি রশিদ। তামিম ৫টি চারে ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৩, সাকিব ৩, সৌম্য ৩ ও মোসাদ্দেক শূন্য হাতে ফিরেন। শেষদিকে আবু হায়দারের ১৪ বলে অপরাজিত ২১ রানে কিছুটা সম্মানজনক রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। হায়দারের ইনিংসে ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। রশিদ ৪ ওভারে ১২ রানে ৪ উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্যে দলকে ৩৮ রানের সূচনা এনে দেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও উসমান গনি। ১৮ বলে ২৪ রান করে বাংলাদেশের পেসার আবু হায়দারের শিকার হন শেহজাদ।

এরপর আরেক ওপেনারকে গনিকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার রুবেল হোসেন। ৩১ বলে ২১ রান করে ফেরেন গনি। তাঁদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই। কিন্তু এই জুটিতে খুব বেশি রান যোগ হয়নি। ৪ রানে থাকা স্টানিকজাইকে শিকার করেন মোসাদ্দেক হোসেন।

দলীয় ৭৯ রানে স্টানিকজাই ফিরে গেলে আফগানিস্তানের জয়ের পথ পরিস্কার করতে থাকেন শেনওয়ারি ও মোহাম্মদ নবী। ২৬ বলে ৩৬ রান যোগ করে দলকে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যান তাঁরা। তবে শেনওয়ারিকে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে থামিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় কিছুটা ফেরান মোসাদ্দেক।

শেষ দুই ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিলো আফগানিস্তানের। কিন্তু রুবেলের করা ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কা এবং চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আবারো চার ও ছক্কা মেরে আফগানদের জয় নিশ্চিত করেন নবী। 

৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রান করেন নবী। বাংলাদেশের মোসাদ্দেক ২ উইকেট নেন।

Loading...