loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ড্যাফোডিল-এর ১৫০০ শিক্ষার্থী পেলো ডিসিএল ল্যাপটপ


ড্যাফোডিল-এর ১৫০০ শিক্ষার্থী পেলো ডিসিএল ল্যাপটপ

‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ১৯তম পর্বে শনিবার (৯ জুন) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ১৫০০টি 7th Generation-এর ডিসিএল ব্র্যান্ড ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। 

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার। 

ল্যাপটপ প্রদানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান একাডেমিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ থেকে দশ বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে-স্বপ্ন বর্তমান সরকার দেখেছিলো সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশকে দক্ষ মানবসম্পদ উপহার দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রমেও প্রশংসনীয় উন্নয়ন ঘটিয়েছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষার্থীদের হাতে ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ তুলে দিয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ল্যাপটপ শুধু গান শোনা বা মুভি দেখার যন্ত্র নয়; বরং এটি এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। তিনি শিক্ষার্থীদের এই ল্যাপটপের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করার ও মহৎ স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মো. সবুর খান বলেন, বেকারমুক্ত দেশ গড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বাস করে, এই ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে কর্মজীবনের জন্য দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে ড্যাফোডিল ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। 

এছাড়া তাদেরকে এপ্লয়াবিলিটি ৩৬০ ডিগ্রি,  আর্ট অফ লিভিংসহ বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করতে হয়, যার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়। এজন্য ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা পাশ করার পর বেকার থাকে না বলে মন্তব্য করেন সবুর খান। এসময় তিনি ল্যাপটপটিকে নিজের ও রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ-সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সবুর খান এই ল্যাপটপের সঠিক ও কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদেরকে আধুনিক পৃথিবীর উপযোগী হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি অ্যামাজন ও আলিবাবার উদাহরণ দিয়ে বলেন, সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকার প্রথম স্থানে উঠে এসেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের নাম। তিনি শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার দিয়েই শুরু করেছিলেন তাঁর ই-কমার্স ব্যবসা। আলিবাবার কথাও কমবেশি সবাই জানে। তিনি জীবনে অনেকবার ব্যর্থ হয়েছেন। তবু তিনি হাল ছাড়েননি।

শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সবুর খান বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর উদ্যোক্তা প্রয়োজন। তাই তোমরা উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করো। যদি উদ্যোক্তা হতে গিয়ে ব্যর্থও হও, তবু তুমি কর্মক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে ভালো করবে। কারণ অন্যদের চেয়ে তোমার অভিজ্ঞতার পাল্লা হবে ভারী।

উল্লেখ্য, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সহায়তায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে এ-পর্যন্ত ২৩৫০০ ল্যাপটপ বিতরণ করেছে।

(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)

Loading...