loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

লুকাকুর দুই গোলে বেলজিয়ামের উড়ন্ত সূচনা


লুকাকুর দুই গোলে বেলজিয়ামের উড়ন্ত সূচনা

শুরু থেকেই প্রায় একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে খেলছিলো বেলজিয়াম। তবে দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি তাঁরা। প্রথমার্ধ তাই থাকে গোলশূন্য। তাতে অনেকের মনেই শঙ্কা জেগেছিলো -  বেলজিয়ামও কি অন্য ফেভারিটদের পথ ধরবে? না, সে-রকম কিছু হয়নি - দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা আরও বাড়িয়ে ঠিকই বড় জয় তুলে নিয়েছে ইউরোপের দেশটি। বিশ্বকাপে নবাগত পানামাকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে।

সোচিতে সোমবার (১৮ জুন) ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে বেলজিয়ামের তিন গোলের দুটাে এসেছে রোমেলো লুকাকুর পা থেকে। অন্য গোলটি করেছেন ড্রাইস মার্টেন্স।

রাশিয়া বিশ্বকাপে এর আগ পর্যন্ত ফ্রান্স ছাড়া কোন ফেভারিট দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি। ভিএআর সুবিধা না পেলে ফ্রান্সকেও হয়তো থাকতে হতো জয়হীন। যাহোক, সে-তালিকা লম্বা হয়নি। প্রাপ্য জয় তুলে নিয়েছে বেলজিয়াম। 

এদিন প্রথমার্ধের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে দলটি। কিন্তু পানামার গোলরক্ষক জেমি পেনেডোর দক্ষতায় ৪৭ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় থাকে ম্যাচ।

৮ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বেলজিয়াম। যদিও ইয়ানিক কারাসোর গড়ানো শট ধরতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি পানামা গোলরক্ষকের। ১২ মিনিটে দুর্ভাগ্য প্রায় ডেকেই এনেছিলেন ডিফেন্ডার রোমান তোরেস। ছোট ডি বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে পাস দিতে গিয়ে এডেন হ্যাজার্ডের পায়ে বল দিয়ে দেন তিনি। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হ্যাজার্ড। দুরূহ কোন থেকে বলটি জালে জড়ানো সম্ভব হয়নি।

তিন মিনিট পরে মার্টেন্সের প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২২ মিনিটে হ্যাজার্ডের কর্নার থেকে ডি ব্রুইনের শটও লক্ষ্যে থাকেনি। ৩৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেইভ করেন পেনেডো। ডান প্রান্তে তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন হ্যাজার্ড। কিন্তু পরাস্ত করতে পারেননি পানামার গোলরক্ষককে। দারুণ দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন পেনেডো।

অবশ্য অপেক্ষা আর লম্বা হয়নি এবারের আসরের ডার্ক হর্সদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় তাঁরা। আক্রমণ থেকে মার্টেন্সের শট ঠিকভাবে ফেরাতে না পারায় আবার বল পেয়ে যান তিনি। বল পেয়ে নিখুঁত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্ট্রাইকার।

৫৬ মিনিটে গোল পরিশোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল পানামাও। এডগার বারকেনাসের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন মাইকেল মুরিলো। কিন্তু গোলরক্ষক থাবা কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি।

৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বেলজিয়াম। ডি ব্রুইনের পাস থেকে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান লুকাকু। ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই তারকা। হ্যাজার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

এরপরও গোল করার বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিলো বেলজিয়াম। সুযোগ এসেছিলো পানামারও। তবে তা থেকে কোন দলই গোল করতে না পারায় ৩-০ ব্যবধান নিয়েই মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।

Loading...