মিশরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক রাশিয়া। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পরে এই প্রথম এমন কৃতিত্ব দেখালো দলটি। অবশ্য তখন তাঁরা ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই জয়ের ফলে শেষ ষোলো প্রায় নিশ্চিত করলো রাশিয়া। আর টানা দ্বিতীয় হারে মিশরের নকআউট পর্বে উঠার আশা শেষ বললেও চলে। এসব সমীকরণ অবশ্য তখনই মিলবে যখন উরুগুয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে জিতবে। তবে সৌদি আরব জিতে গেলেও গোল ব্যবধান এতে ভূমিকা রাখবে।
আঘাতের কারণে মিশরের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারা মোহাম্মদ সালাহ এ-ম্যাচে জেতাতে পারলেন না নিজ দলকে। যদিও পেনাল্টি থেকে একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়েছেন তিনি।
এদিন গ্রুপ ‘এ’র এই ম্যাচটি ছিলো দু’দলেই দ্বিতীয় খেলা। রাশিয়া উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দারুণ সূচনা করেছিলো। অন্যদিকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের হার দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিলো মিশরের।
আসরের ১৭তম ম্যাচে সেইন্ট পিটার্সবার্গে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে মিশরের জালে তিনটি গোল দেয় রাশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় দলটি। ৪৭ মিনিটে আলেক্সান্ডার গোলোভিনের প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন মিশরের আহমেদ ফাতি (১-০)।
আক্রমণের ধার বাড়ানো রাশিয়া মিশরের রক্ষণব্যুহ ভাঙতে বার বার চেষ্টা চালাতে থাকে। ৫৯ মিনিটে দেনিস চেরিশভের গোলে ব্যবধান বাড়ায় রাশিয়া (২-০)। বিশ্বকাপে এটি তাঁর তৃতীয় গোল। ফলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তিন গোল করে তালিকায় শীর্ষে উঠে গেলেন তিনি। তিন মিনিট পরে আর্তেম জিউবার গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রাশিয়া।
মোহাম্মদ সালাহ’র পেনাল্টি গোলে ব্যবধান কমায় মিশর। ৭৩ মিনিটে ভিডিও অ্যাসিটেন্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি থেকে পাওয়া পেনাল্টি থেকে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করতে কোনো ভুল করেননি এই লিভারপুল তারকা। যাহোক, শেষ পর্যন্ত মিশরকে হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।