মন্ত্রীপরিষদ সভায় সােমবার (১৬ জুলাই) জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮ পাস হয়েছে। ক্রমবর্ধমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ই-কমার্স এর বাজার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই নীতিমালার গুরুত্ব অপরিসীম।
ডিজিটাল কমার্স নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল কমার্স ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে নীতিগত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তােলা এই নীতিমালার অন্যতম উদ্দ্যেশ্য। পাশাপাশি, নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টির ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই নীতিমালার কারণে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডিজিটাল কমার্স সম্পর্কিত সচেতনতা এবং এ-খাতের অংশীজনদের মধ্যে পারস্পরিক ভারসাম্যও তৈরি হবে।
ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮ অনুমোদিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে অভিনন্দন জানিয়ে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা আমাদের অগ্রসরমান ই-কমার্স খাতকে সুসংহত করবে। বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ই-কমার্স অনেক এগিয়ে গেছে। অনেক বৈশ্বিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উপমহাদেশের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেছে। স্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোয় নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হলে দেশের উন্নয়নে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন ও পরিমার্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বিশেষ করে বেসিস ই-কমার্স অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক মোক্তাফিজুর রহমান সোহেল, বেসিস ডিজিটাল কমার্স স্থায়ী কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম খসড়া জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা তৈরিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
এ-প্রসঙ্গে বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম বলেছেন, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা পাস হওয়ায় এই খাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার নিশ্চিত হলো। বেসিস দীর্ঘদিনের ধরেই ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে, যা এই নীতিমালা প্রণয়নের কারণে আরো বেগবান হবে।
- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
