সোমবার (৩০ জুলাই) রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তিন সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে তিন সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের একটি টিম এবং প্রতি দুটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে ১৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এঁরা নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। আরো চার প্লাটুন করে বিজিবি রিজার্ভ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন - বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি’র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মো. শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ (হাতি)।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন - বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি’র মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল)।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন - বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি’র আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর মো. আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসান মাহবুব জোবায়ের (টেবিল ঘড়ি), মো. এহসানুল হক তাহের (হরিণ) ও মো. বদরুজ্জামান সেলিম (বাস)।
এই তিন সিটিতে এবার ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজশাহী ও বরিশাল সিটিতে ৩০টি করে সাধারণ ও ১০টি করে সংরক্ষিত ওয়ার্ড এবং সিলেট সিটিতে ২৭টি সাধারণ ও নয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। বরিশালে ১০টি, রাজশাহীতে দুইটি ও সিলেটে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।