loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

রাস্তায় গণপরিবহন নেই, ভোগান্তি চরমে


রাস্তায় গণপরিবহন নেই, ভোগান্তি চরমে

নিরাপদ সড়কের দাবিতে গত কয়েকদিনের ছাত্র-বিক্ষোভের পরে এবার অঘোষিত ধর্মঘট ডেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচল একপ্রকার বন্ধই রয়েছে গত সােমবার (৩০ জুলাই) থেকে। এতে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পােহাচ্ছেন। 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরলেও শুক্রবার থেকে (৩ অগাস্ট) রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকায় আসা-যাওয়া করছে না দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃজেলা বাসও। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিসি)’র অল্প কিছু বাস মহানগরীতে চলছে। বলা বলা বাহুল্য, সেই বাসগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়।

পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাঙচুরের ভয়ে পরিবহন শ্রমিকরা বাস চালাতে চাইছেন না। অবশ্য মালিকেরাই বাস রাস্তায় নামাতে দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।

শনিবার (৪ অগাস্ট) সকালে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশায় করেই গন্তব্যে যাচ্ছেন নগরবাসী। তবে সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশা-চালকেরা সুযােগ বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন পিকআপ ভ্যানে। রাস্তার পাশেই গণপরিবহন পার্ক করে রাখলেও তা চালাচ্ছেন না মালিক-পরিবহন শ্রমিকেরা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহবাগ, আজিমপুর, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পল্লবী, বনানী, বারিধারা, রামপুরা, মালিবাগ, খিলক্ষেত, উত্তরাসহ প্রায় সব এলাকার চিত্র এটি।

গত রবিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে চাপা পড়ে দুইজন কলেজ-শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্ররা। এসময় কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয় ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সােমবার থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে চালক ও গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি শুরু করে। সড়কে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন দাবি পেশ করে। একপর্যায়ে আতঙ্কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন মালিকেরা।

গত বৃহস্পতিবার (২ অগাস্ট) সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাঁদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। এরপর কিছু গণপরিবহন চললেও শুক্রবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে - ছাত্ররা ‘‘ভাঙচুর’’ বন্ধ করলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।

Loading...