জন মিলম্যানের রুপকথার গল্পকে শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ দিতে দিলেন না দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ। কোয়ার্টার-ফাইনালে বিশ্বের ৫৫ নম্বর র্যাঙ্কধারী অস্ট্রেলিয়ান মিলম্যানকে সরাসরি সেটে পরাজিত করে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের সাবেক এই শীর্ষ টেনিস তারকা। ২০১১ ও ২০১৫ সালে দু’বার শিরোপা জয় করেছিলেন জকোভিচ।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফ্ল্যাশিং মিডোর সেন্টার কোর্টে ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ গেমে সহজেই উঠতি অসি তারকাকে পরাজিত করে গত ১১ বছরে ১১বারের মতো ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেন সার্বিয়ান সুপারস্টার। জুনে উইম্বলডনের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ত্রয়ােদশ গ্র্যান্ড স্ল্যামের পাশাপাশি ৫৪ সপ্তাহের শিরোপা জয়ের খরা কাটিয়েছেন জকোভিচ।
শুক্রবারের (৭ সেপ্টেম্বর) সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ জাপানের তারকা কেই নিশিকোরি।
২১তম বাছাই নিশিকোরি ক্রোয়েশিয়ান তারকা মারিন সিলিচকে ৪ ঘন্টা ৮ মিনিটের দীর্ঘ লড়াই শেষে ২-৬, ৬-৪, ৭-৬ (৭/৫), ৪-৬, ৬-৪ গেমে পরাজিত করে শেষ চার নিশ্চিত করেছেন। ২০১৪ সালের ফাইনালে সিলিচের কাছেই ফাইনালে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়েছিলেন নিশিকোরি।
চতুর্থ রাউন্ডে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরারকে পরাজিত করে অঘটনের জন্ম দেয়া মিলম্যানকে নিয়ে আরেকটি স্বপ্নে বিভোর ছিলো অস্ট্রেলিয়ানরা। কিন্তু আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে আরেকটি গরম ও আর্দ্র দিনে ২ ঘন্টা ৪৯ মিনিটের লড়াইয়ে মিলম্যান জকোভিচের সামনে আর পেরে উঠেননি। ২০টি ব্রেক পয়েন্টের মধ্যে মাত্র চারটিতে সফল হওয়া, একইসাথে ৫৩টি আনফোর্সড এরর করার পরেও জকোভিচ সহজ জয় তুলে নিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে সার্বিয়ান এই তারকা বলেছেন, প্রথমে কোর্টে বেঁচে থাকতে হবে, এরপর জয়ের জন্য এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মিলম্যান এমন একজন খেলোয়াড় যে বল মিস করার জন্য প্রতিপক্ষকে বাধ্য করে। অথচ সে নিজে খুব একটা মিস করেনা।
কব্জির আঘাতের কারণে গত বছর ইউএস ওপেনে খেলতে না-পারা নিশিকোরির সাথে নারীদের বিভাগে শেষ চার নিশ্চিত করেছেন স্বদেশি নাওমি ওসাকা। এই প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে পুরুষ ও নারী বিভাগে একইসাথে জাপানের খেলোয়াড়রা খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
২০১৪ সালে সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় জকোভিচকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো কোন এশিয়ান হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছিলেন নিশিকোরি। কিন্তু এরপরে আর কোনো স্ল্যাম-ফাইনালে খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। ২০১৬ সালের ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিলেন তিনি।
