ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচেও দেখালেন নিজের চিরচেনা রূপ। শেষ টেস্ট ম্যাচে শতরান করেই বিদায় নিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। সঙ্গে অর্জন করলেন দলের জয়ও। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে ভারতও চেষ্টা কম করেনি ম্যাচ বাঁচানোর। লোকেশ রাহুল ও রিশাব পান্তের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়েরও সুবাসও পাচ্ছিলো তাঁরা। কিন্তু কুকের শেষ টেস্ট ইংল্যান্ডের ঘরেই যাবে - এটাই বোধ হয় ছিলো বিধির বিধান। ইংল্যান্ড-স্পিনার আদিল রশিদ করলেন কাজের কাজটি-ই। তাঁর স্পিনেই শেষ হলো ভারতের ইনিংস।
পঞ্চম টেস্ট ১১৮ রানে জিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে স্বাগতিক দল। শেষ উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ শামিকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে পেছনে ফেলে টেস্টে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এখন তাঁর দখলে।
ওভাল টেস্টে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) তিন উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে অতিথিরা। জয়ের জন্য শেষদিনে প্রয়োজন ৪০৬ রান। অ্যান্ডারসন ও ব্রডের পেসে বেশ ভুগলেও দিনের প্রথম ঘণ্টা ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন রাহুল ও রাহানে।
রাহানেকে ফিরিয়ে ১১৮ রানের জুটি ভাঙেন মইন আলি। অভিষিক্ত হনুমা বিহারিও শূন্য রানে ফেরেন বেন স্টোকসের বলে। তবে এরপরই দাড়িয়ে যায় রাহুল-পান্ত জুটি। কাটিয়ে দেন দ্বিতীয় সেশনও। জয়ে আশা দেখতে শুরু করে আগেই সিরিজ খোয়ানো ভারত।
সফরে নিজের প্রথম অর্ধশত রান পেরিয়ে শতরানও পেয়ে যান ওপেনার রাহুল। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পান্তের সঙ্গে মিলে গড়েন ২০৪ রানের অসাধারণ এক জুটি। ৩২৪ বলে ২০ চার ও এক ছক্কায় ১৪৯ রান করে রশিদের দারুণ এক ঘূর্ণিতে ফেরেন রাহুল। আর এই উইকেটই পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়।
রশিদকে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান পান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত এই লেগ স্পিনারের বলেই সাজঘরে ফেরেন। ১৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১৪৬ বলে ১১৪ রানে ইনিংস শেষ হয় পান্তর। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে। একে ফিরে যান সবাই।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুই উইকেট নিয়ে কিংবদন্তি পেসার ম্যাকগ্রার পাশে বসেন অ্যান্ডারসন। মঙ্গলবার শামিকে বোল্ড করে টপকে যান ম্যাকগ্রাকে। সঙ্গে এনে দেন দলের জয়ও। মাত্র ২০ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারানো ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩৪৫ রানে।
শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করা কুক জেতেন ম্যাচ-সেরার পুরস্কার। সিরিজ হারলেও সিরিজ-সেরার পুরস্কার ওঠে ভারতের অধিনায়ক ভিরাট কোহলির হাতে। যৌথভাবে পুরস্কৃত হন ইংল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার স্যাম কুরান।