loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

দেশে প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ শুরু


দেশে প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ শুরু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর সুপার স্পেশালাইজড (বিশেষভাবে বিশেষায়িত) হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশে কেন্দ্রভিত্তিক চিকিৎসাসেবা চালু করতে বিএসএমএমইউকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে উন্নীত করার এই প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  বিএসএমএমইউ-এর কেবিন ব্লকের উত্তর পাশে এই হাসপাতালের ১১ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। 

একইসঙ্গে বিএসএমএমইউ-এর কনভেনশন সেন্টার, ডায়াগনস্টিক ও অনকোলজি ভবন এবং ডক্টর’স ডরমেটরিও উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির নির্মাণ-প্রকল্প গৃহীত হয়। কারিগরি সহযোগিতার পাশাপাশি কোরিয়া সরকার হাসপাতালটি নির্মাণে সহজ শর্তে অর্থ-সহায়তা করছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু হবে এই হাসপাতালেই। হাসপাতালটিতে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য আলাদা বহির্বিভাগ থাকবে - যেখানে প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন অন্তত ৫ হাজার রোগী।

এর জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্রে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে। অত্যাধুনিক সার্জারিসহ থাকবে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন সুবিধা। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে প্রতিবছর ২২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে পারবেন। হাসপাতাল ও এর তথ্য-ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডিজিটালি পরিচালনা করা হবে। ভিআইপি ও ভিভিআইপি কেবিন থাকবে এতে।

প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে দুইটি বেইজমেন্টসহ নয় তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরবর্তী দুইতলা নির্মাণ হবে। ১১ তলা হাসপাতাল ভবনটিতে থাকবে মোট ১০০০ শয্যা।

সেন্টার বেইজড (কেন্দ্রভিত্তিক) চিকিৎসা-পদ্ধতির মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

এই হাসপাতাল নির্মাণ হলে প্রথম পর্যায়ে থাকবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হৃদরোগ বিভাগ, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কিডনিরোগ বিভাগ। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে চক্ষুরোগ বিভাগ, দন্ত বিভাগ, চর্মরোগ বিভাগ, মেডিসিন ও শল্য-চিকিৎসা (সার্জারি) বিভাগ।

Loading...