গণফোরামের ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে একমঞ্চে এসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি’র নেতারা আগামী ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে সভা-সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ড. কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ ঘোষিত তিন দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থনও জানায় বিএনপি।
‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র তিন দফা দাবিগুলো হলো – ‘‘নিরপেক্ষ’’ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের জন্য ‘‘কার্যকর’’ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান সংসদের বিলুপ্তি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ড. কামাল। খবর স্থানীয় গণমাধ্যমের।
‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ শনিবার সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি’র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ ও আবদুল মঈন খান, যুক্তফ্রন্টের শরিক জাসদ (জেএসডি)-এর আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণসংহতি আন্দোলন ও বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নয়টি দলের নেতাগণ।
এছাড়া বিএনপি’র পক্ষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ডা. জাফরুল্লাহ সমাবেশে যোগ দেন এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মঈনুল হোসেন সমাবেশে বক্তব্য দেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে এই প্রথমবারের মতো এতগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাদের একমঞ্চে দেখা গেলো। অবশ্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)সহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের বেশিরভাগ দলের নেতাদের সেদিন মঞ্চে দেখা যায়নি।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ের জন্য ঘোষণায় দেশের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল-সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র এই সমাবেশের পরে দেশের রাজনৈতিক-অঙ্গন কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
