loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি আর নেই

পাকিস্তানকে নয় উইকেটে হারালো ভারত


পাকিস্তানকে নয় উইকেটে হারালো ভারত

এক সময় ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই ছিলো টান টান উত্তেজনা। কালের বিবর্তনে তা আর নেই। এশিয়া কাপ সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। হেসেখেলে নয় উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। আর তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালের টিকেট কাটে দলটি।

দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার জোড়া সেঞ্চুরিতে ২০১৮ এশিয়া কাপে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করলো ভারত। ধাওয়ানের ১১৪ ও রোহিতের ১১১ রানের সুবাদে পাকিস্তানকে নয় উইকেটে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এই জয়ের ফলে ফাইনালে খেলার পথ অনেকাংশেই পরিস্কার হলো ভারতের। কারণ সুপার ফোর পর্বে  টানা দু’ম্যাচ জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাইয়ে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্যাটিং-এ নেমে ২৪ রানের সূচনা পায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম উল হককে ১০ রানে থামিয়ে দিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ভারতের লেগ-স্পিনার যুজবেন্দ্রা চাহাল। আরেক ওপেনার ফখর জামানও এ ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ৩১ রানে তাকে তাকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন ভারতের আরেক স্পিনার বাঁ-হাতি কুলদীপ যাদব।

তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি বাবর আজম। নয় রানে আউটের শিকার হন তিনি। এরপর পাকিস্তানের মিডল-অর্ডারে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক দলের রানের চাকা সচল করেন। তৃতীয় উইকেটে ভারতীয় বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকেন তারা। এতে পাকিস্তানের স্কোর দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। দু’জনে জুটিতে ১০৭ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৪৪ রান করা সরফরাজকে তুলে নিয়ে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন ভারতের কুলদীপ।

সরফরাজ হাফ-সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরে গেলেও, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৩তম অর্ধশত রান তুলে নেন মালিক। দলীয় ২০৩ রানে বিদায় নেন মালিক। চারটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৯০ বলে ৭৮ রান করে জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হন তিনি। 

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মালিকের বিদায়ের পর পরের দিকে ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানকে বড় স্কোর এনে দিতে পারেননি। টেইল এন্ডার আসিফ আলীর ২১ বলে ৩০ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৩৭ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ভারতের বুমরাহ, চাহাল ও কুলদীপ ২টি করে উইকেট নেন।

২৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা দেখেশুনেই করেন ভারতের দুই ওপেনার ধাওয়ান ও রোহিত। পাঁচ ওভারে ২৩ রান যোগ করেন তাঁরা। ষষ্ঠ ওভারে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদির চতুর্থ ডেলিভারিতে কভারে ক্যাচ দিয়েছিলেন রোহিত। সেটি তালুবন্দি করতে পারেননি ইমাম।

এরপরে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন রোহিত। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ধাওয়ান। তাই প্রথম ১০ ওভারে ভারতের রান গিয়ে দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৩। ভারতকে শতরানে পৌঁছে দিতে মোট ১১৫ বল মোকাবেলা করেন ধাওয়ান ও রোহিত। এরমধ্যে অর্ধশত রানের স্বাদ নিয়েছিলেন ধাওয়ান। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে দেরি করেননি রোহিতও। ধাওয়ান ৫৬তম বলে হাফ-সেঞ্চুরি পেলেও, রোহিত পেয়েছেন ৬৪তম বলে।

অর্ধশত রানের পরে মারমুখী হয়ে উঠেন দুই ওপেনার। ফলে ২৬তম ওভারেই দেড়শ ও ৩৩তম ওভারে ২শ রানের কোটা স্পর্শ করে ভারত। আর ৩৩তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ধাওয়ান।

সেঞ্চুরি পাবার পরের ওভারেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ধাওয়ান। ১৬টি চার ও দুই ছক্কায় ১১৪ রান করেন তিনি। রোহিতের সাথে ২০১ বলে ২১০ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। পাকিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের এটিই সর্বোচ্চ রান। আগেরটি ছিলো ১৫৯ রানের। 

১৯৯৮ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সিলভার জুবলি ইনডিপেন্ডন্স কাপের ফাইনাল ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৯ রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলী। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো উইকেট জুটিতে ধাওয়ান-রোহিতের ২১০ রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম শতরানের দেখা পান রোহিতও। ১০৬তম বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। এই সেঞ্চুরির পথে ভারতের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাত হাজার রান পূর্ণ করেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ১১৯ বলে অপরাজিত ১১১ রান করেন রোহিত। তাঁর সঙ্গী আম্বাতি রাইদুর সংগ্রহ ছিলো ১২ রান। 

এদিন ম্যাচ সেরা হয়েছেন ভারতের ধাওয়ান।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরে শেষ ম্যাচ খেলবে ভারত।

Loading...