loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

ভালো খেলেও ফিলিপিন্সের কাছে হারলো ফুটবলাররা


ভালো খেলেও ফিলিপিন্সের কাছে হারলো ফুটবলাররা

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল ২০১৮’র সেমিফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ও ফিলিপিন্স-এর। ফলে চাপ ছিলো কম। শুক্রবারের (৫ অক্টোবর) ম্যাচটি তাই ছিলো শুধু গ্রুপে অবস্থান নির্ধারণের আনুষ্ঠানিকতা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১১৪তে থাকা ফিলিপাইনের মোকাবেলা করে ১৯৩তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ। আর তাতে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ফিলিপিন্স।

শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকলেও মাঠে অনেক ভালো খেলেছে বাংলাদেশ দল। তবে আক্রমণ করে বিফল হয় তাঁরা। শুরু থেকে অতিরিক্ত সময় গড়ানো পর্যন্ত বহুবার গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি জেমি-ডে’র শিষ্যরা। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে উঠতে পারল না বাংলাদেশ। গ্রুপে প্রথম স্থান পেলো ফিলিপিন্স।

ম্যাচের শুরু থেকেই কয়েকবার প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের কাছাকাছি বল নিয়ে গেলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত হন তপুরা। এছাড়া ফিলিপিন্সের গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের অনেক চেষ্টা নিষ্ফল হয়। অসাধারণ নৈপুণের জন্য ম্যান অফ দি ম্যাচ নির্বাচিত হন ফিলিপিন্সের গোলরক্ষক মাইকেল ক্যাসাস।

গত খেলায় দলে থাকা চার জন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মামুনের আঘাতের কারণে ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব বর্তায় তপু বর্মণের ওপর।  লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম একাদশে থাকা ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল, মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়া, ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ, ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল বাদ পড়েন। তাঁদের বদলে একাদশে আসেন মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ, ফরোয়ার্ড তৌহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা ও ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।

শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে বাংলাদেশ। ফিলিপিন্সকে কাঁপিয়ে দেন তৌহিদুল ইসলাম সবুজ, রবিউল হাসানরা। চার মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। থ্রো থেকে উড়ে আসা বলে বক্সে থাকা তপু বর্মণের হেড ফিস্ট করেন  ফিলিপিন্সের গোলরক্ষক। জটলার মধ্যে বল ঘুরে বল শেষ পর্যন্ত ক্লিয়ার করেন এক ডিফেন্ডার। তিন মিনিট পরে ডান প্রান্ত দিয়ে রবিউল হাসানের জোরালো শট সরাসরি যায় গোলরক্ষকের হাতে।

২৪তম মিনিটে বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত ফিলিপিন্স পাল্টা-আক্রমণে উঠে গোল পেয়ে যায়। ফিলিপিন্স অধিনায়ক বাহাদরান মিসাগের পাস থেকে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বাঁ পোস্ট ঘেষে বল জালে পাঠান মাইকেল ডেনিয়েলস (১-০)।

৬৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে সবুজের দারুণ ক্রসে নাবীব নেওয়াজ জীবন মাথা ছোঁয়াতে পারলেও গোল হয়নি । ৮০ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে ফের আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বদলি নামা ইব্রাহিমের ক্রস ফিলিপিন্সের এক ডিফেন্ডার মাথা ছুঁইয়ে বাইরে পাঠান। পরের মিনিটে ফের বাঁ-প্রান্ত দিয়ে জীবনের কাছ থেকে বক্সে ক্রস পান বদলি নামা মতিন মিয়া। দারুণ ক্রসও করেছিলেন তিনি, কিন্তু জায়গামতো বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না।

ম্যাচের একেবারে শেষদিকে ফিলিপিন্সে রক্ষণভাগ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন রবিউল হাসান, রহমতরা। কিন্তু সর্বশক্তি দিয়ে তা রক্ষা করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফিলিপিন্স।

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে গ্যালারি ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। গ্যালারিভরা দর্শকদের প্রত্যাশা ছিলো দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করবে এবং এগিয়ে যাবে। কিন্তু এর কোনোটাই হলো না। খেলা শেষে গ্যালারি ভর্তি দর্শদের নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়। অবশ্য ম্যাচ শেষে দর্শকদের শর্তহীন ভালোবাসাকে মাঠ ঘুরে হাত তালি দিয়ে অভিনন্দিত করে ফুটবলাররা।

এই জয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়েছে ফিলিপিন্স। শনিবার ফিলিস্তিন-নেপাল ম্যাচে যাঁরা জয়ী হবে - তাঁদের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে হবে বাংলাদেশকে। শক্তির বিচারে ফিলিস্তিনেরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে সেমির লড়াইয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০০তম স্থানে থাকা ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে লড়াইটা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সহজ হবে না।

২০১১ সালে মায়ানমারে চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশকে হারিয়েছিলো ফিলিপিন্স। সেদিন ব্যবধান ছিলো ৩-০। ১৯৯১ সালে অলিম্পিকের প্রাকবাছাইয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল ফিলিপিন্স অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলো। এছাড়া, ১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে ফিলিপিন্সকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।

Loading...