বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। ঢাকার হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে শনিবার (৬ অক্টোবর) এই উৎসব শুরু হয়েছে স্টুডেন্টস ফোরামে আয়োজিত ইয়ুথ ফেস্ট দিয়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাহিম রাজ্জাক, সংসদ সদস্য, শরীয়তপুর-৩, শরীয়তপুর এবং নাইমুজ্জামান মুক্তা, পিপলস পারস্পেকটিভ স্পেশালিস্ট, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)।
আরো উপস্থিত ছিলেন ২০ বছর উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, বেসিস-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এ তৌহিদ, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, বেসিস-এর সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন এবং বেসিস ইয়ুথ ফেস্টের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ফারুক।
স্বাগত বক্তব্যে ইয়ুথ ফেস্টের আহ্বায়ক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিভাগের মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন-এর দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের সহযোগিতায় বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের উদ্যোগে ‘ইয়ুথ ফেস্ট’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
এই আয়োজনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো:
- সাত হাজার শিক্ষার্থীর সরাসরি অংশগ্রহণ
- শিক্ষার্থীদের তৈরি তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক প্রকল্প প্রদর্শন
- টেকটক: দেশসেরা তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণ
- বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
- তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক প্রায়োগিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা
- এলআরবি, কন্ঠশিল্পী পারভেজসহ আরো অনেকের কনসার্ট
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘‘১৯৯৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখার লক্ষ্যে বেসিস গঠিত হয়েছিলো, আজ বেসিস তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতৃত্ব দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণ। বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের ২৬ হাজার শিক্ষার্থীরা মিলে বিশাল যে আয়োজন করেছে - তা অভূতপূর্ব। বেসিস-এর ২০ বছর শুরু হলো আরো ২০ বছর পরের ভবিষ্যত নেতাদের হাত ধরে। আমি আপ্লুত, মুগ্ধ। আশা করি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ এভাবেই এগিয়ে নেবে বেসিস।’’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেন, ‘‘মাত্র ২০ বছর আগে জন্ম নেয়া বেসিস আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে মেধানির্ভর উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্বও দেবে বেসিস। তাই আমরা আইসিটি শিল্প ও একাডেমিয়া একযোগে কাজ করছি। এর প্রতিফলন বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম। আমি বেসিসের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।’’
বেসিস সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি অংশীজন হিসেবে বেসিসের সকল সহযোগী সরকারি, বেসরকারি এবং দেশি-বিদেশি সংগঠনসমূহ ২০ বছর পূর্তি উৎসবে অংশ নেবে। পাশাপাশি থাকবে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও উইমেনস ফোরামের উদ্যোগে নানান আয়োজন। ’’
এই উৎসবে আয়োজন করা হবে ই-কমার্স সপ্তাহ। সকল স্তরের গ্রাহকদের জন্যে নানান ধরনের ছাড়, থাকছে উইমেন ফোরামের উদ্যোগে সেলিব্রেটিং উইমেন অ্যাট ওয়ার্ক, বেসিস সদস্যদের জন্যে সেবা সপ্তাহ, বেসিস সদস্যদের জন্য নতুন সেবার উদ্বোধন, ২০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রা নিয়ে সেমিনার, দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নিয়ে নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠান, ২০ বছরের বেসিসের অগ্রযাত্রা নিয়ে হিস্টরি বুক উন্মোচন এবং সবশেষে সকল অংশীজনকে নিয়ে গালা ডিনার।
- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি