loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

ভারতের এশিয়া কাপ অ-১৯ ক্রিকেটের শিরোপা পুনরুদ্ধার


ভারতের এশিয়া কাপ অ-১৯ ক্রিকেটের শিরোপা পুনরুদ্ধার

প্রথম পাঁচ আসরে শিরোপা জয়ের পরে ষষ্ঠ আসরে সেরা হতে পারেনি ভারত। তবে সপ্তম আসরের ফাইনালে রোববার (৭ অক্টোবর) শ্রীলংকাকে ১৪৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের শিরোপা উদ্ধার করলো ভারত।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়ে শুভ সূচনা করে ভারত। দুই ওপেনার ইয়াসাসভি জিসওয়াল ও অনুজ রাওয়াত ১৫১ বলে ১২১ রানের জুটি গড়েন। দু’জনই অর্ধশত রান করেন।

রাওয়াত ৫৭ রানে ফিরলেও শতরানের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন জাইসওয়াল। অবশ্য সেঞ্চুরি-বঞ্চিত হন তিনি। ৮৫ রানে থেমে যেতে হয় তাঁকে। ১১৩ বল মোকাবেলা করে আটটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান জাইসওয়াল।

তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামা দেবদূত পাদিক্কাল ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে অধিনায়ক সিমরান সিং ও আয়ুশ বাদোনি দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন।

ইনিংসের শেষ ৫৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ১১০ রান যোগ করেছেন সিমরান ও বাদোনি। সিমরান তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৭ বলে ঝড়ো ৬৫ রান করেন। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন বাদোনিও। অধিনায়কের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিলেন তিনি। মাত্র ২৮ বলে দুইটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৫২ রান করেন বাদোনি। তাঁদের দুরন্ত জুটিতে ৫০ ওভারে তিন উইকেটে ৩০৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।

প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের জন্য ৩০৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলংকা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নিশান মাদুশাকা ও পাসিন্দু সুরিয়াবান্দরা লড়াই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড় লক্ষ্যের জন্য বড় জুটি গড়তে পারেননি তাঁরা। ৪৬ রান যোগ করে মাদুশাকা নিজের ৪৯ ও সুরিয়াবান্দারা ৩১ রানে ফিরেন।

এরপর আর কোন বড় জুটি গড়ে উঠেনি শ্রীলংকার। কারণ ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার হার্স তিয়াগির ঘুর্ণির সামনে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। যাওয়া-আসার মিছিল করে কোন ব্যাটসম্যানই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। একমাত্র নাভোদ পারানাবিথানা ছিলেন ব্যতিক্রম। দুইটি করে চার ও ছক্কায় ৬১ বলে ৪৮ রান করেন পারানাবিথানা। ফলে কম রানে গুটিয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পায় শ্রীলংকা। 

শেষ পর্যন্ত ৬৮ বল বাকী রেখে ১৬০ রানে অলআউট হয় লংকান যুবারা। ভারতের তিয়াগি ৩৮ রানে ছয় উইকেট শিকার ম্যাচ-সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। টুর্নামেন্ট-সেরা হন ভারতেরই জাইসওয়াল।

১৯৮৯ সালে এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। ঐ আসরটি হয়েছিলো বাংলাদেশে। প্রথম আসরেই শিরোপা জেতে ভারত। এরপরের চার আসরেও মুকুট জয় অব্যাহত থাকে ভারতের। তবে গত বছর ভারতের মুকুট ছিনিয়ে নেয় আফগানিস্তান। এক বছর বাদে শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো ভারত।

এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের রোল অফ অনার

সাল            স্বাগতিক                   চ্যাম্পিয়ন          রানার্স-আপ

১৯৮৯         বাংলাদেশ                   ভারত                      শ্রীলংকা

২০০৩         পাকিস্তান                   ভারত                      শ্রীলংকা

২০১২         মালয়েশিয়া                  ভারত                    পাকিস্তান

২০১৩/১৪  সংযুক্ত আরব 

                 আমিরাত                           ভারত                    পাকিস্তান

২০১৬         শ্রীলংকা                    ভারত                        শ্রীলংকা

২০১৭         মালয়েশিয়া               আফগানিস্তান       পাকিস্তান

২০১৮         বাংলাদেশ                  ভারত                       শ্রীলংকা

Loading...