loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

প্রীতিম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের জয়


প্রীতিম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের জয়

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পরেও খেলার নির্ধারিত সময় শেষে যখন স্কোরবোর্ড শূন্য, তখন অনেকেই হয়তো ভাবতে শুরু করছিলেন - ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ম্যাচ গোলশূন্য ড্র, এমনটা ভেবে। কিন্তু আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি মাঠে না-থাকলেও ব্রাজিলের নেইমারতো ছিলেন! তাহলে শেষ বাঁশি বাজার আগ-পর্যন্ত কিছু আন্দাজ করা কী ঠিক? সম্ভবত না।

সেটাই বোঝালেন নেইমার। যোগ হওয়া সময়ে কর্নার কিক থেকে তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া বলই দুর্দান্ত হেডে আর্জেন্টিনার জালে জড়িয়ে দিলেন মিরান্ডা। সাম্বার দেশের সমর্থকরা মেতে উঠে বিজয়োল্লাসে। বিশ্বফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মধ্যে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে এই গোলের সুবাদেই জয় তুলে নিলো কোচ তিতের শিষ্যরা।

সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রীতিম্যাচে নামলেও দুই দলের অতীতের দ্বৈরথ-উত্তাপই জানান দিচ্ছিলো। তাই গ্যালারিতেও ছিলো ফুটবলপ্রেমীদের ভিড়।

আট মিনিটেই প্রথম সুযোগ পেয়ে যায় মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা। নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন জিওভানি লো সেলসো, কিন্তু তা গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। এর ২০ মিনিটের মধ্যেই দারুণ সুযোগ আসে নেইমারদের সামনে। এই পিএসজি তারকা ফ্রি কিক নিলে সেটা রুখে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। কিন্তু কাসেমিরো আবার জালে জড়াতে চাইলে বক্সের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নিকোলাস ওটামেন্ডি অনেকটা মাথা-বুক একসঙ্গে পেতে দিয়ে রক্ষা করেন আর্জেন্টিনা।

সৌদি আরবের বাতাসের তাপমাত্রায়  দু’পক্ষের খেলোয়াড়দেরই তখন কঠিন দশা। রেফারি তাই ৩০ মিনিটের মাথায়ই পানীয় পানের সুযোগ দেন। 

এরপর খেলা শুরু হতেই আবার সামনে সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার। ব্রাজিলের ফাউলের সুবাদে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ইউভেন্টাসের ‘নাম্বার টেন’ পাওলো দিবালার সেই কিক গোলপোস্টের একেবারে পাশ দিয়ে চলে যায়। 

৪০তম মিনিটে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ প্রায় ভেঙে ঢুকে পড়তে থাকা নেইমারকে থামিয়ে দেন সেই ওটামেন্ডি। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তেও আর্জেন্টিনা-শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছিলেন নেইমার।

দ্বিতীয়ার্ধে দু’পক্ষই আক্রমণের ধার বাড়ায়। আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগে তুলনামূলকভাবে ভালো খেলতে থাকা দিবালাকে উঠিয়ে ৫৮ মিনিটে লাওটারো মার্টিনেজকে নামান অন্তর্বর্তী কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৬০তম মিনিটে  আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। পারাদেসের লম্বা শট অবশ্য লক্ষভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে সেলসোকে হতাশ করেন মারকুইনহোস।

গত বিশ্বকাপে ফ্লপ হওয়া জাসুসকে উঠিয়ে নেওয়া হয় ৬৫ মিনিটে। তাঁর বদলে নামান রিচার্লিসনকে। এর মধ্যে অবশ্য আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকেও গোল দিতে না পারা নেইমার প্রতিপক্ষের পারাদেসকে ফাউল করে হলুদ কার্ড হজম করেন।

৭০তম মিনিটে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে নেইমার বল বাড়িয়ে দেন বক্সের মাঝে। বার্সেলোনার তারকা ম্যালকম আর্থার ক্ষিপ্রগতির শটও নিয়েছিলেন, কিন্তু গোলরক্ষক রোমেরো সেটা দারুণ নৈপুণ্যে ফিরিয়ে দেন।

৭৭তম মিনিটে নেইমারের আরেকটি ফ্রি কিক গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। এই অবস্থায় সবাই যখন গোলশূন্য ড্র ম্যাচের হিসাব কষছিলেন - তখনই পার্থক্য গড়ে দেন মিরান্ডা, নেইমারের এগিয়ে দেয়া বল পেয়ে। অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে নেইমার কর্নার নিলে পোস্টের পাশেই দাঁড়ানো মিরান্ডা দারুণ হেডে সেই বল জালে জড়িয়ে দেন। এতেই ফলাফল চলে আসে।

পুরো ম্যাচে ফাউল হয়েছে প্রচুর। ফলে হলুদ কার্ড দেখেছেন দুইদলের সাতজন খেলোয়াড়। গোল না-পেলেও দারুণ খেলে দর্শকের মন জয় করেছেন নেইমার। এছাড়া, দিবালা নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিষ্প্রভ দেখা গেছে মাউরো ইকার্ডিকে।

Loading...