loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

নাসার জন্য মনোনীত হলো বাংলাদেশের আটটি প্রকল্প


নাসার জন্য মনোনীত হলো বাংলাদেশের আটটি প্রকল্প

টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর উদ্যোগে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ জমকালো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলভাবে শেষ হলো।

এবার বাংলাদেশের নয়টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা হয় প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে গত ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুইদিনব্যাপী হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

৩৬ ঘন্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পরে শনিবার (২০ অক্টোবর) রাতে জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮-এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮-এর যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু।

স্বাগত বক্তব্যে দিদারুল আলম বলেন, এবার ২০০০ প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি প্রকল্প আমরা নাসার জন্য মনোনীত করেছি। এবার সেরা আটটি প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে দুইটি প্রকল্প Global People's Choice Finalists হিসেবে সম্মান অর্জন করে। এবার আরো ভালো কিছু করার আশা করছি আমরা।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ সম্পর্কে সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদিসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এর মূল লক্ষ্য।

আরিফুল হাসান অপু বলেন, মহাকাশের বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু,আগ্নেয়গিরি, মঙ্গলগ্রহসহ ছয়টি বিভাগের অধীনে মোট ২০টি সাব-ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হবে।  ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত চার বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো, আশা করছি ২০১৮ তে আমাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রদূত আজকের তরুণ সমাজ। তাঁরাই আগামী দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বিশ্ব পরিমন্ডলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং তরুণদের সক্ষমতা তুলে ধরতে বিশ্ব এ নিয়ে চারবার নাসার সাথে যৌথ নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ আয়োজন করলো। গত বছর সেরা ১২০টি প্রকল্পের মধ্যে শীর্ষ দশে বাংলাদেশের দুটি প্রকল্প ছিলো। এবার পরিধি আরো বেড়েছে। বাংলাদেশ আরো ভালো করবে এটাই আমার বিশ্বাস।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এই আয়োজন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের নয়টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি এক লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এই প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়।  

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮-এর বিজয়ীদের তালিকা:

ঢাকা - চ্যাম্পিয়ন: টিম গেম চেঞ্জার; রানার্স-আপ: প্ল্যানেট কিট

চট্টগ্রাম - চ্যাম্পিয়ন: টিম কিউ; রানার্স-আপ: টিম মাত্রা

কুমিল্লা - চ্যাম্পিয়ন: টিম ফোটন; রানার্স-আপ: টিম মেটা কোডার্স

রংপুর - চ্যাম্পিয়ন: এইচএসটিইউ মেট্রোয়েড

সিলেট - চ্যাম্পিয়ন: টিম অলিক 

Loading...