বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙুলের আঘাত এখনো সারেনি। তা সত্ত্বেও টি-টোয়েন্টি এক্সে খেলার অনুমতি চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান - যা নিয়ে দেশের ক্রিকেট-অঙ্গনে উঠে আলোচনার ঝড়। সাকিবের আবেদনে প্রথমে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে শেষ পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র দিয়েছে বোর্ড। এতে চলতি বছরের শেষদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন তিনি। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি এক্স টুর্নামেন্টে খেলার জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র চান সাকিব। তাঁর আঘাতের কথা চিন্তা করে প্রাথমিকভাবে এতে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি বিসিবি। শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান থেকে সরে এলো বোর্ড।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে অনাপত্তিপত্র দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেছেন, উইন্ডিজ সিরিজের আগে বোর্ড চাচ্ছে, সাকিব কোনো একটা প্রতিযােগিতায় খেলুক - যাতে সে দেখতে পারে ব্যথা অনুভব হচ্ছে কি-না।
২০১৮ সালে টাইগারদের প্রথম মিশন ছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তিনজাতি সিরিজ। ঘরের মাঠে লংকানদের বিপক্ষে ফাইনালে বাঁহাতের সেই আঙুলে চোট পান সাকিব। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই শ্রীলংকায় নিদাহাস ট্রফিতে খেলেন। পরে আঘাত নিয়েই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং উইন্ডিজের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজই খেলেছেন।
এরপর খেলতে যান এশিয়া কাপে। সেখানেই বাগড়াটা বাধে। আঙুলের আঘাত গুরুতর আকার ধারণ করে। আঙুল ফুলে যায়। ফলে এশিয়া কাপের মাঝপথেই দেশে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে আঙুলে জরুরি অস্ত্রোপচার করান। বের করা হয় পুঁজ।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান সাকিব। সম্প্রতি মেলবোর্ন হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ ডেভিড হয়কে আঙুল দেখান। দেশে ফিরে সাকিব জানান, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে আঙুলের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। তবে শিগগির মাঠে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।