প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সরকারি হাসপাতালের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাই তিনি আশা করছেন চিকিৎসাসেবা শুধু পেশা হিসেবে - নয় মহান দায়িত্ব হিসবে গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর মহাখালীস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভবন উদ্বোধন এবং আরো কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকালে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার অ্যাট শের-ই- বাংলা নগর এর উদ্বোধন এবং বিএমআরসি ভবন মহাখালী, ঢাকা’র ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ, শেরেবাংলা নগর-এর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতাল শেরেবাংলা নগর-এর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, কিডনি ডিজিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল শেরেবাংলা নগরের সম্প্রসারণ কাজ, ৫শ’ বেড হাসপাতাল মুগদা’র সার্ভিস ব্লকের সম্প্রসারণ, নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াফারি ভবন মহাখালি, অ্যাজমা সেন্টার মহাখালি’র সম্প্রসারণ এবং কনষ্ট্রাকশন অফ হেলথ ম্যানেজমমেন্ট, সাভার-এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হয়েছে সেগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ভিত্তি আরো মজবুত হবে, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি একটা অনুরোধ করবো এই ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল - যে প্রতিষ্ঠানই আমরা তৈরী করি না কেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সুন্দরভাবে চলে, ভালোভাবে চলে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের এই তৈরী করা স্থাপনাগুলো যেন গুণে ও মানে অটুট থাকে। বাংলাদেশের মানুষের দোড়গোড়ায় তাঁর সরকার স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে, তাই মানুষ যেন সেবাটা পায় এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম শিশির এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
