সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের কিশোররা। শনিবার (৩ নভেম্বর) নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
খেলার ২৫ মিনিটেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড দিয়ে বল নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন পাকিস্তানের ডিফেন্ডার হাসিব আহমেদ খান। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পাকিস্তানকে (১-১) সমতায় ফেরান মহিব উল্লাহ। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক মেহেদী হাসান আজ একাদশে ছিলেন না। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ সমতায় থাকায় কোচ আনোয়ার পারভেজ বদলি হিসেবে মিতুল মারমার পরিবর্তে মেহেদীকে মাঠে নামান।
টাইব্রেকারের প্রথম, দ্বিতীয় ও শেষ শটটি ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে ৩-২ গোলে জয় উপহার দিয়ে নায়ক হয়েছেন যশোরের এই কিশোর। স্পটকিক থেকে বাংলাদেশের তিনটি গোল করেছে হৃদয়, রাজা আনসারি ও রুস্তম। মিস করেছেন রাজন ও রবিউল।
এবারের আসরে চারটি ম্যাচেই অপরাজিত থাকলো অনূর্ধ্ব-১৫ দলটি। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৯-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জন নিয়ে নেপালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
এরপর সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে দলটি। এবার কিশোররা গোল করেছে ১৩টি, খেয়েছে তিনটি।
২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে সাফের অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য পরের আসরে শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ২০১৭ সালে নেপালের কাছে ৪-২ গোলে হেরে ফাইনালে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। সেবার ভুটানকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোররা।
এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার হলো। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে সেমিফাইনালে বিদায় করে দিয়েছে বাংলার দুরন্ত কিশোররা। শনিবার ফাইনালে পাকিস্তানকে বধ করল বাংলাদেশ।