বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের ম্যাচের মধ্য দিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে যাত্রা শুরু করলো । কিন্তু অভিষেকটা রঙিন করা তো দূরে থাকুক, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ঠিকমতো লড়াইও করতে পারলো না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। চতুর্থ দিন মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত খেলতে পারা বাংলাদেশ ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হার মেনেছে।
এই হারের ফলে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে গেলো টাইগাররা। অন্য্যদিকে ২০০১ সালের পর বিদেশের মাটিতে প্রথম জয় পেল জিম্বাবুয়ে। এমনকি বিদেশের মাটিতে এটি নিয়ে তৃতীয় জয় পেল দলটি।
অবশ্য সিলেট টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে রেকর্ডই গড়তে হতো। এখনো পর্যন্ত রান তাড়া করে পাওয়া বাংলাদেশের তিনটি জয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে।
তৃতীয় দিনে টাইগারদের ৩২১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। তবে দিন শেষে বিনাউইকেটে ২৬ রান করায় কিছুটা স্বস্তি পায় স্বাগতিক শিবির। কিন্তু চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে দলীয় অর্ধশত রান এলেও এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে হারিয়ে যান তাঁরা। দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত কোনো রকম টিকে সবকটি উইকেটের বিনিময়ে ১৬৯ রান উঠে।
জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ করার পর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ধস নামে। ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। পরে সফরকারীরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হয়।
৩২১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সূচনাটা ভালো করলেও নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। অল্প রানের ব্যবধানে প্রথম দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সিকান্দার রাজার বলে শট খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন ওপেনার লিটন দাশ (২৩)। পেসার কাইল জারভিসের বলে ব্যক্তিগত নয় রানে বোল্ড হন মুমিনুল হক।
দেখেশুনে খেলতে থাকা ইমরুল কায়েসও টিকতে পারেননি। সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১০৩ বলে ছয়টি চারে ৪৩ করেন এই ওপেনার। সিকান্দার রাজার তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। ১৬ রান করেন টাইগার-দলনেতা। ব্র্যান্ডন মাভুতার বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরই মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দু’দল।
টাইগারদের ভরসা মুশফিকুর রহিমও সেই মিছিলে সামিল হন। ব্র্যান্ডন মাভুতার বলে তিনি ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন। পরে একই বোলারের বলে মেহেদি হাসান মিরাজ সাত রান করে আউট হন।
তাইজুল ইসলামকে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা শূন্য রানে তুলে নিলে বাংলাদেশ অষ্টম উইকেট হারায়। আর নাজমুল ইসলাম অপু কোনো স্কোর না করে মাভুতার বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন। দুই ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে তিরিশোর্ধ রানের ইনিংস খেলা আরিফুল ৩৭ বলে ৩৮ করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বিদায় নেন।
