loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

বোল্টের হ্যাটট্রিক: পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয়


বোল্টের হ্যাটট্রিক: পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয়

টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে দাপটের সঙ্গে ৪৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। মূলত বাঁ হাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ট্রেন্ট বোল্টের হ্যাটট্রিকের সুবাদে ম্যাচে ধরাশায়ী হয় পাকিস্তান। ব্যাটিং স্তম্ভ ফখর জামান, বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজকে সাজঘরে পাঠিয়ে তৃতীয় কিউই বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব অর্জন করেন সদ্য বাবা হওয়া বোল্ট।

১৯৯৪ সালে ন্যাপিয়ারে ভারতের বিপক্ষে প্রথম কিউই বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন ড্যানি মরিসন। এর এক যুগেরও পর ২০০৭ সালে হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় কিউই বোলার হিসেবে সে কৃতিত্ব দেখান শেন বন্ড। বুধবার (৭ নভেম্বর) তাঁদের পাশে নাম লেখালেন ২৯ বছর বয়সী বোল্ট।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাংটিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ৩৬ রানে মুনরোর (ব্যক্তিগত ২৯) বিদায়ে চাপে পড়ে ব্ল্যাক ক্যাপরা।

তিন নম্বরে নামা উইলিয়ামসন রস টেইলরকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন। ২৭ রানে উইলিয়ামসন বিদায় নিলে (দলীয় ৭৮) লাথামকে নিয়ে জুটি বাঁধেন টেইলর। ১৩০ রানের এই জুটির যখন ভাঙে - কিউইদের স্কোর তখন ৪১ ওভারে ২০৮। ৬৮ রানে লাথাম বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন রস টেইলর। 

এ-পর্যায়ে ক্রিজে আসা নিকোলাস কোনো রান যোগ না করতেই ফিরে যান। এরপর গ্র্যান্ডহোম যখন ফেরেন তখনও নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২০৮ রান। উইকেট ছয়টি। ৪২ ওভারে টেইলর ব্যক্তিগত ৮০ রানে ফিরে গেলে বড় সংগ্রহের আশা ছেড়ে দেন কিউই ভক্তরা। তবে শেষ দিকে টিম সাউদি ও সোধীর লড়াকু ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে নয় উইকেটে ২৬৬ রানের সংগ্রহ দাঁড়ায়।

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান। অপর উইকেটটি নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।

২৬৭ রানের জয়ের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মাত্র আট রানে বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। পরের দুই বলে বাবার আজম ও মোহাম্মদ হাফিজকে যথাক্রমে কট ও এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেন বোল্ট। মূলত এখানেই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং।

দলীয় ১০০ রান না পেরুতেই আরো তিন ব্যাটসম্যান ইমাম-উল হক, শোয়েব মালিক, শাদাব খানকে হারিয়ে প্রায় পেছনে সরে যায় পাকিস্তান। তবে সপ্তম উইকেটে সরফরাজ আহমেদ ও ইমাদ ওয়াসিমের জুটি (১০৩ রানের জুটি) আশা দেখাতে থাকে দলকে। এ-পর্যায়ে গ্র্যান্ডহোম সরফরাজ আহমেদকে বোল্ড করলে কিউই-শিবিরে স্বস্তি ফেরে।

ব্যক্তিগত ৬৪ রানে সরফরাজের বিদায়ের পর ৫০ রান করে ফেরেন ইমাদ ওয়াসিম। ২১৯ রানে তাঁর বিদায়ের পর ১৬ রান করা হাসান আলী ও শাহীন শাহ আফ্রিদিও ফেরেন একই স্কোর থাকা অবস্থায়। তাতে ১৬ বল বাকি থাকতেই ৪৭ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

এদিন ম্যাচ সেরার হয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অন্য উইকেটগুলোর মধ্যে ফার্গুসন নিয়েছেন তিনটি, গ্র্যান্ডহোম দুইটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি ও সুধী।

Loading...