সিলেট টেস্টে যাচ্ছেতাইভাবে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। সিরিজ বাঁচাতে হলে ঢাকা টেস্টে হার এড়ালেই কিংবা ড্র করলেই চলবে না, জিততেই হবে টাইগারদের। ফলে ম্যাচটি হবে বাঁচা-মরার। সুখবর হলো, সেই ম্যাচে ফিরছেন বোলার মোস্তাফিজুর রহমান।
সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের এমনভাবে হারের পেছনে অনেকেই একাদশ নির্বাচনকে দায়ী করেছেন। ফলে ঢাকা টেস্টে টাইগার একাদশে যে পরিবর্তন আসছে - তা প্রায় নিশ্চিত।
গত টেস্টে এক পেসার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। পেস আক্রমণের দায়িত্বে ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। হোমটাউন থেকে রাজধানীতে ফিরে একাদশে জায়গা হারাতে পারেন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন শফিউল ইসলাম। আঘাতের ধকল সামলাতে সেই টেস্ট না খেলা মোস্তাফিজ খেলছেন - তা অনেকটাই নিশ্চিত।
তবে শফিউল অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন - তা নিশ্চিত নয়, থেকেও যেতে পারেন রাহী। আবার তাঁর পরিবর্তে আরেক খালেদ আহমেদকেও ডাকা হতে পারে। অর্থাৎ তিনজনের মধ্যে একজন খেলবেন সেটা নিশ্চিত।
দুজন পেসার খেললে একজন স্পিনার বাদ যাবেন। এতে জায়গা হারাতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। শেষ টেস্টে রেকর্ড গড়া তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধেই ন্যস্ত থাকবে স্পিন আক্রমণের দায়িত্ব।
বোলিং আক্রমণের মতো ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন আসতে পারে। একাদশ থেকে ছিটকে পড়তে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অবশ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য থেকেও যেতে পারেন। বাদ পড়লে তার স্থানে ঢুকতে পারেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
যাহোক, রোববার (১১ নভেম্বর) থেকে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের একাদশ হতে পারে এরকম - লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, নাজমুল হোসেন শান্ত/ মোহাম্মদ মিথুন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম/আবু জায়েদ রাহী/ খালেদ আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।