loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

তোশাখানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


তোশাখানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে নবনির্মিত তোশাখানা’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা আমাদের কেবল স্বাধীনতা-ই দিয়ে যাননি তিনি আমাদের মর্যাদাও দিয়ে গেছেন। এই মর্যাদাকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।” তিনি বলেন, গত ১০ বছরে তাঁর সরকারের শাসনে দেশের জনগণের জীবন-মান উন্নত হয়েছে এবং তিনি এই জীবন-মানের আরো উন্নয়ন ঘটাতে চান।

“আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো এবং ওই সময়ের মধ্যে দেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলবো। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ,” বলেছেন শেখ হাসিনা।

বিজয় সরণিতে রাষ্ট্রীয় তোশাখানার পাঁচতলার অত্যাধুনিক ভবনটির আয়তন ৫০ হাজার স্কয়ার ফিট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত এই তোষাখানায় দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং কর্মকর্তাগণ যেসব রাষ্ট্রীয় উপহার পাবেন - তা সংরক্ষণ করা হবে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো.নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সেনাবাহিনী প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ এবং উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীগণের দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উপহার সামগ্রী দেশের সম্পত্তি এবং দেশের সন্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কাজেই এসবকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই তোশাখানার নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য তোশাখানা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার নির্দেশে ‘তোশাখানা আইন ১৯৭৪’ (রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা) প্রণীত হয় এবং বঙ্গভবনে এই তোশাখানা স্থাপন করা হয়।

শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে তোশাখানার জন্য আলাদা ভবনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন। তাঁর নির্দেশেই রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী জনসাধারণের কাছে প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে এই নান্দনিক তোশাখানা ভবনটি নির্মিত হলো।

Loading...