প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তাঁর দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যবৃন্দের শপথ গ্রহণের একদিন পর শেখ হাসিনা শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুল মতিন খসরু, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও রমেশ চন্দ্র সেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, চিফ হইপ আ স ম ফিরোজ, দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংসদ সদস্যগণ এ-সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের সংসদ সদস্যবৃন্দ গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়ের তিনদিন পরে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য সংসদ সদস্যগণকে শপথ-বাক্য পাঠ করান।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৮টি আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নাম এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সম্বলিত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।
জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ঐ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৯টি আসনে বিপুল বিজয় অর্জন করে। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ২০ এবং বিএনপি পাঁচটি আসনে জয়লাভ করে। ওয়াকার্স পার্টি তিনটি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল দুইটি আসনে, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুইটি আসনে এবং তরিকত ফেডারেশন একটি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া, গণফোরাম দুইটি আসনে, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ তিনটি আসনে জয়লাভ করে।
