বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৬ জানুয়ারি) বাদ আছর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
রোববার দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা তাঁদের প্রিয় নেতাকে চিরবিদায় জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন বনানী কবরস্থানে। এদিন সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সর্বস্তরের নাগরিক, রাজনৈতিক সহকর্মী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিপুলসংখ্যক শুভাকাঙ্খী ও গুণগ্রাহী শরিক হন।
নামাজে জানাজা শেষে কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়।
প্রথমে মরহুমের কফিনে রাষ্ট্রপতি হামিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আরেকবার শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, ১৪ দলের পক্ষে মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে মরহুমের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এবং পরিবারের পক্ষে তার ছোট ভাই ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। এ-সময় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
প্রথম নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ হেলিকপ্টারে কিশোরগঞ্জে নেয়া হয়। মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান এবং তৃতীয় নামাজে জানাজা ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ড থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে আশরাফের মরদেহ গ্রহণ করেন। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাসভবনে আনা হয়।
গত বৃহষ্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক কন্যাসহ রাজনৈতিক সহকর্মী, বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং নেতা-কর্মী রেখে গেছেন।
