বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
রাজশাহী কিংস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ১১ জানুয়ারি
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী কিংস: ১২৪/১০, ১৮.৫ ওভার (উদানা ৩২, মিরাজ ৩০, আফ্রিদি ৩/১০)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৩০/৫, ১৮.৪ ওভার (আনামুল ৪০, লুইস ২৮, কাইস ১/২১)
ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পাঁচ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: শহিদ আফ্রিদি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টুর্নামেন্টের দশম ও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কুমিল্লা পাঁচ উইকেটে হারায় রাজশাহীকে।
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাট হাতে কুমিল্লার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। তাই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ইনিংসের সাত বল আগেই ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩২ রান করেন শ্রীলংকার পেস বোলার উসুরু উদানা। এছাড়া অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ১৭ বলে ৩০, জাকির হাসান ২৬ বলে ২৭ ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ১৭ বলে ১৬ রান করেন।
কুমিল্লার পাকিস্তানের খেলোয়াড় শহিদ আফ্রিদি ১০ রানে তিন উইকেট নেন।
১২৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লার দুই ওপেনার এনামুল হক ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস। দু’জনের মারমুখী ব্যাটিং-এ ৭ ওভারেই ৬৫ রান পেয়ে যায় কুমিল্লা। তবে অষ্টম ওভারের প্রথম বলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়।
তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২১ বলে ২৮ রান করে থামেন লুইস। লুইস ফিরলেও নিজের ইনিংস বড় করছিলেন আনামুল। কিন্তু দুভার্গ্যজনকভাবে রান আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৪০ রান তিনি। তাঁর ইনিংসে চারটি চার ও একটি ছক্কা ছিলো।
এনামুল ফিরে যাবার পর আট রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। তামিম ইকবাল ২১, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ছয় ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিক দুই রান করে ফেরেন। এ-অবস্থায় ম্যাচে ২২ বলে ১৬ রান দরকার হয় কুমিল্লার। দলের বাকী প্রয়োজন মিটিয়েছেন আফ্রিদি ও ডসন। আট বল বাকী রেখে দলকে জয়ের স্বাদ দেন তাঁরা। ডসন ১২ ও আফ্রিদি নয় রানে অপরাজিত থাকেন।