loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

সুপার ওভারের ইতিহাস গড়ে জিতলো চিটাগাং


সুপার ওভারের ইতিহাস গড়ে জিতলো চিটাগাং

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ; ১২ জানুয়ারি; শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইটান্স: ২০ ওভারে ১৫১/৬ (স্টার্লিং ১৮, জুনায়েদ ২০, মালান ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ব্র্যাথওয়েট ১২, শান্ত ৬, আরিফুল ৭*, মাহিদুল ৪*; ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩০, সানজামুল ২/৩৭, নাঈম ১/১৬, মোসাদ্দেক ০/৭, খালেদ ১/২৮, রাহী ১/২৯)
চিটাগাং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৫১/৮ (শেহজাদ ১০, ডেলপোর্ট ১৭, ইয়াসির ৪১, মুশফিক ৩৪ , সিকান্দার ৪, মোসাদ্দেক ১২, ফ্রাইলিঙ্ক ২৩, নাঈম ৮, সানজামুল ০*; জুনায়েদ ১/২৪, ব্র্যাথওয়েট ২/৩০, শরিফুল ২/৩১, স্টার্লিং ০/৯, তাইজুল ১/২৩, মালান ০/১৪, আরিফুল ০/১৮)

সুপার ওভার

চিটাগাং ভাইকিংস: ১১/১  (ডেলপোর্ট,  ফ্র্যাইলিঙ্ক ৪, মুশফিক ১* ; জুনায়েদ ১/১১)
খুলনা টাইটান্স: ১০/১ ( ব্র্যাথওয়েট ১, মালান ৬ , স্টার্লিং ৩; ফ্র্যাইলিঙ্ক ০/১০  )

ফলাফল: চিটাগাং ভাইকিংস সুপার ওভারে ১ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ: রবি ফ্রাইলিঙ্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর শনিবারের (১২ জানুয়ারি) প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স ও চিটাগাং ভাইকিংস। প্রথমে ব্যাট করে খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। দারুণ নাটকীয়তার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে - বিপিএল-এর ইতিহাসে যা প্রথম। এই ম্যাচ হেরে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা।

সুপার ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান ডেলপোর্ট। দ্বিতীয় বলে নেন এক রান। তৃতীয় বলে আবারও বাউন্ডারি হাঁকানো রবি ফ্রাইলিঙ্ক চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। পঞ্চম ও শেষ বলে একটি করে রান দেন খুলনার জুনায়েদ খান। সুপার ওভারে খুলনার টার্গেট দাঁড়ায় ১২ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলে এক রান করেন ব্র্যাথওয়েট। পরের বলেই চার হাঁকান মালান। এর পরের বলগুলো থেকে দুই রান নিলেও চতুর্থ বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন ব্র্যাথওয়েট। শেষ পর্যন্ত চিটাগাং পায় এক রানের জয়।

এর আগে ১৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ২.২ ওভার উইকেটে থাকতে পেরেছেন চিটাগাং ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। দলীয় ১২ রানে জুনাইদ খানের বলে ১০ বলে ১০ রান করে ফেরেন এই আফগান।  আরেক ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টের সঙ্গে মিলে বেশ ভালোই খেলছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু ১৬ বলে ১৭ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে কার্লোস ব্রাথওয়েটের হাতে ধরা পড়েন ডেলপোর্ট।

দারুণ হাত চালিয়ে খেলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলী। চিটাগাং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন তিনি। ডেলপোর্টের মতোই সীমানায় সেই ব্রাথওয়েটের হাতেই ধরা পড়েন। এবারের বোলার শরিফুল ইসলাম।

বেশি সময় উইকেটে স্থায়ী হতে পারেননি জিম্বাবুইয়ের ক্রিকেটার সেকান্দার রাজা। মাত্র চার বল খেলে শূন্য রানে ব্রাথওয়েটের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ১২ বলে ১২ রান করে শরিফুলের বলে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র দুই রান যোগ করে ফেরেন মুশফিকও। ব্রাথওয়েটের বলে আউট হয়ে ফেরার আগে ২৬ বলে ৩৪ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নেনে শরিফুল ইসলাম ও  ব্রাথওয়েট। একটি করে উইকেট নেন জুনায়েদ খান, আরিফুল হক ও তাইজুল ইসলাম।

শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগাং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ের শুরুটা পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ভালো করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। দলীয় ৩১ রানে স্টার্লিং ব্যক্তিগত ১৮ রানে নাঈম হাসানের বলে বিদায় নেন। ১০ রান যোগ করে ফ্রাইলিঙ্কে কাটা পড়েন জুনায়েদ (২০)।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন ডেভিড মালান ও মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে তাঁরা ৭৭ রান করেন। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে আবু জায়েদের বলে সিকান্দার রাজাকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন মালান। ৪৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই ইংলিশ তারকা। আর ৩১ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে ফেরেন রিয়াদ।

চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সানজামুল চার ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফ্রাইলিঙ্ক, নাঈম, খালেদ আহমেদ ও আবু জায়েদ।

Loading...