গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তাঁদের এই অর্জনে দেশের সকল তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন আনন্দিত ও গর্বিত।
মাননীয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটঅয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস - বেসিস,বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি - বিসিএস, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ - আইএসপিএবি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং - বাক্কো, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ - ই-ক্যাব যৌথভাবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, পরিচালক দিদারুল আলম ও পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক এবং বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্ক’র সভাপতি ও ই-ক্যাব-এর সভাপতি শমী কায়সার। এছাড়া, অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এক হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বেসিস সভাপতি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের অভিভাবক হিসেবে এমন দু’জন মানুষকে বেছে নেয়ার জন্য - যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আদ্যোপান্ত জানেন। বেসিসের পক্ষ থেকে আমি মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের যে-অগ্রযাত্রা চলছে তা বেগবান হবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। বেসিস দীর্ঘদিন ধরেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বেসিস আজকের মতো আগামী দিনেও সবার সাথে দলবদ্ধ হয়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়দের আরও শুভেচ্ছা জানান বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্ক ও ই-ক্যাব-এর সভাপতিবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্ক এবং ই-ক্যাবকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য। তথ্যপ্রযুক্তি খাত আজ যে-উচ্চতায় আসীন হয়েছে তার কৃতিত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পাশাপাশি খাতসংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোরও। তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন একসাথে কাজ করছে বলেই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজেদের চ্যালেঞ্জের কথা জানাতে পারছেন এবং সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দকৃত প্রণোদনা সঠিকভাবে পাচ্ছেন। আমরা সরকারি-বেসরকারি এই মেলবন্ধন আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। একসাথে আমরা গড়বো প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠনগুলেরা কাজের পরিসর ও চ্যালেঞ্জ আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমি ওয়াকিবহাল। সৌভাগ্যের বিষয়, বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্ক ও ই-ক্যাব নিজ নিজ সদস্যদের তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জের প্রকৃত তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরছে এবং সরকারও সে-মাফিক কাজ করে এসেছে, করবেও। স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ ও স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়লেই সুদৃঢ় হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি আমরা। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আশা করি উন্নয়নের এ-ধারা আমাদের সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আরও বেগবান হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
