loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

তামিম-ই জেতালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে


তামিম-ই জেতালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ১৮ জানুয়ারি

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইটান্স: ২০ ওভারে ১৮১/৭ (জহুরুল ০, জুনায়েদ ৭০, আল-আমিন ৩২, মাহমুদউল্লাহ ১৬, মালান ২৯, ব্র্যাথওয়েট ১২, আরিফুল ১৩, শান্ত ১*; সাইফউদ্দিন ১/২৯, মেহেদী ০/৩৭, পেরেরা ০/২০, রিয়াজ ২/৩৪, ডসন ০/৮, আফ্রিদি ৩/৩৫, শামসুর ০/১৪)

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯.৪ ওভারে ১৮৬/৭ (তামিম ৭৩, বিজয় ৪০, ইমরুল ২৮, শামসুর ১, ডসন ৪, পেরেরা ১৮*, আফ্রিদি ১২, জিয়া ০, সাইফউদ্দিন ১*; মালিঙ্গা ১/২২, মাহমুদউল্লাহ ১/২৬, জুনায়েদ ৪/৩২, ব্র্যাথওয়েট ০/৫০, তাইজুল ০/১৭, আরিফুল ০/১৩, আল-আমিন ০/১৬)

ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেটে জয়ী

প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ: তামিম ইকবাল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)

এবার বিপিএল-এর শুরু থেকেই বোলিং ভালো হলেও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ ছিল খুলনা টাইটান্স। শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) একাদশে পরিবর্তন এনে নেওয়া হয় আল-আমিন জুনিয়রকে। এতে প্রাথমিক সাফল্য পায় দলটি। অবশ্য উল্টোটা ঘটে বোলিং বিভাগে। শুরুতে বোলাররা ছিলেন চরম ব্যর্থ। শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণ পেলেও সুবিধা করতে পারেননি। অন্যদিকে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার তামিম ইকবাল। এতেই হার মানতে হয় খুলনাকে। কুমিল্লা অর্জন করে প্রতিযোগিতার চতুর্থ জয়।

জুনায়েদ সিদ্দিকির দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহই পেয়েছিল খুলনা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উড়ন্ত সূচনা পায় কুমিল্লা। আগের ম্যাচগুলোতে ব্যর্থতার চাদরে ঢেকে থাকা তামিম এদিন ফিরে পেলেন ছন্দ। করলেন দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। ফলে দুই বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

মূলত সূচনা-জুটিই বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র। তামিমের সঙ্গে দারুণ খেলেছেন আরেক ওপেনার বিজয়ও। ফলে ওপেনিংয়ে আসে ১১৫ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। যদিও জুটি ভাঙতেই হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যায় কুমিল্লা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। কিন্তু খুলনার যা ক্ষতি হওয়ায় তা ওপেনিং জুটিতেই হয়ে যায়।

অবশ্য সাতটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে তুলেছিলেন খুলনার বোলাররা। দারুণ বোলিং করছিলেন দুই বিদেশি জুনায়েদ খান ও লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু তাঁদের পর্যাপ্ত সহায়তা করতে না পারায় হার এড়াতে পারেনি দলটি। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা এক প্রান্ত ধরে রেখে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।

কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তামিম। চলতি আসরের প্রথম অর্ধশত রান তুলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৪২ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কা ছিল। ৩৭ বলে ৪০ রান করেন বিজয়। কম যাননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। মাত্র ১১ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি। খুলনার পক্ষে ৩২ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন জুনায়েদ।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জহুরুল ইসলামের উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় খুলনা। তবে প্রতিরোধটা দ্বিতীয় উইকেটেই গড়েন তাঁরা। আল-আমিনের সঙ্গে আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকির ৭২ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেয় দলটি। বড় স্কোরের দিকে যেতে শুরু করে তাঁরা। কিন্তু এ-জুটি ভাঙতেই দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা।

তবে চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মালানের সঙ্গে জুনায়েদের ৫০ রানের জুটিটিতে আবার ফিরে আসে দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রানের সংগ্রহ আসে তাঁদের। তবে দলীয় স্কোরটা হতে পারতো আরও বড়। শেষ দিকে কোনো ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারেননি। শেষ দুই ওভারে এসেছে মাত্র ১৩ রান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন জুনায়েদ। মাত্র ৪১ বলে ইনিংসে সমান সংখ্যক চারটি চার ও ছক্কা মেরেছেন এই ওপেনার। ১৯ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলেন আল-আমিন। এছাড়া মালান করেন ২৯ রান। 

কুমিল্লার পক্ষে ৩৫ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। এছাড়া দুইটি উইকেট আসে ওয়াহাব রিয়াজের ঝুলিতে।

Loading...