loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ


কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ

এক সময়ের মরণব্যাধি ক্যান্সার এখন অনেকটাই নিরাময়যোগ্য। তবে বেশ ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসায় হিমশিম খেতে হয় প্রায় সব মানুষকেই। নিন্মবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, কখনো কখনো উচ্চবিত্ত লোকের জন্যও এই রোগের চিকিৎসা একরকম গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।

তবে ক্যান্সার মোকাবেলায় সরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় পাশে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষের। মানবিকতার সেই পথে আছে ঢাকার শহীদ সরণিতে অবস্থিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালও। এখানে ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঔষধ সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে সরবারহ করা হয়।

রেডিসন হোটেলের ঠিক উল্টোপাশে মনোরম পরিবেশে গোছানো অত্যাধুনিক অবকাঠামোর এই হাসপাতালটি ২০১২ সালের ১৩ মে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্বল্পখরচে সেবা প্রদান করে আসছে হাসপাতালটি।

২০১৫ সালে হাসপাতালটিতে যুক্ত হয় ক্যান্সার বিভাগ। মাত্র একজন সহকারি অধ্যাপক, দু'জন মেডিকেল অফিসার ও ১০ জন প্রশিক্ষিত নার্সের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভাগটি সুনামের সাথে চিকিৎসা-সেবা দিয়ে আসছে। ক্যান্সার নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা, বায়ােপ্সি টেস্ট, সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে সব ধরণের ডায়াগনোসিস তো বটেই, এখানে আরও আছে ডে-কেয়ার কেমোথেরাপি ইউনিট। 

৩০ শয্যাবিশিষ্ট এই ইউনিটের বিশেষ দিক হলো এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ থেকে অর্থনৈতিক অবস্থাভেদে শতভাগ রোগীই প্রয়োজনীয় ঔষধ পেয়ে থাকেন একদম বিনামূল্যে।

গত তিন বছরে এই বিভাগে অন্তত ১২০০ রোগী চিকিৎসা পেয়েছেন বলে জানান অনকোলজি ইউনিটের প্রধান সহকারি অধ্যাপক ড. মোস্তফা আজিজ সুমন। ক্যান্সারবিডিকে তিনি বলেন, “আমরা দায়িত্বের সাথে এই ক্ষুদ্র জনবল নিয়েই রোগিদের সেবা দিয়ে আসছি , অচিরেই আমরা রেডিয়েশনের মাধ্যমেও ক্যান্সার-চিকিৎসা চালু করতে পারবো বলে আশা রাখি। আর সেজন্য এরই মাঝে আমাদের অবকাঠামোগত সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রেডিয়েশন মেশিন পাওয়া মাত্রই আমরা তা শুরু করতে পারবো।”

তিনি ইউনিটটি আর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবল আর রেডিয়েশন মেশিন বরাদ্দ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “লোকবল বাড়লে আমরা আরো বেশি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।”

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...