loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

চলে গেলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল


চলে গেলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

ভোরে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

এক সময় বুলবুলের সুর করা গানগুলো ছিল বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের মুখে-মুখে। তাঁর লেখা ও সুর করা বহু জনপ্রিয় গানের শিল্পী ছিলেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যান্ড্রু কিশোর, খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা ও সামিনা চৌধুরী।

‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের সুর করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন।

আজ এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পাশাপাশি সংগীতাঙ্গনে বুলবুলের অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

“তাঁর ইন্তেকালে দেশ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সুরকারকে হারালো” - এ-কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ইন্তেকালে দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। শেখ হাসিনা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “ইমতিয়াজ বুলবুলের ইন্তেকালে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সংগীতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান মানুষ কখনো ভুলবে না।” রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

Loading...