বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ২১ জানুয়ারি
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী কিংস: ১৭৬/৩, ২০ ওভার (ইভান্স ১০৪*, ডসেট ৫৯*, ডসন ২/২০)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৩৮, ১৮.২ ওভার (আনামুল ২৬, তামিম ২৫, রাব্বি ৪/১০)
ফলাফল: রাজশাহী কিংস ৩৮ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: লরি ইভান্স (রাজশাহী)
ইংল্যান্ডের লরি ইভান্সের শতরান ও নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডসেটের অর্ধশত রানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের ২৩তম ও ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩৮ রানে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। প্রথম পর্বে কুমিল্লার কাছে পাঁচ উইকেটে হারের বদলা নিলো রাজশাহী। এই জয়ে সাত ম্যাচে চারটি জয় ও তিনটি হারে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। সমানসংখ্যক ম্যাচে চারটি জয় ও দুইটি হারে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহে আছে কুমিল্লারও।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (২১ জানুয়ারি) টস হেরে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী কিংস। ২৮ রানের ব্যবধানে উপরের সারির তিনজন ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি। ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস পাঁচ, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ০ ও মার্শাল আইয়ুব দুই রান করে ফেরেন।
৩৭ বলের মধ্যে তিনজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে প্রায় খাদের কিনারায় পড়ে যায় রাজশাহী। এ-অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরান দুই বিদেশি ইভান্স ও ডসেট। চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন তাঁরা। দারুণ বোঝাপড়া গড়ে উঠে ইভান্স ও ডসেটের মধ্যে। তাই শুরুর ধাক্কা ভুলে বড় রান করার পথ পেয়ে যায় রাজশাহী।
দলের ভালো স্কোর গড়ার পথে বিপিএল-এর এবারের আসরের প্রথম ও নিজের টি-২০ ক্যারিয়ারেও প্রথম শতরান করেন ইভান্স। নিজের মুখোমুখি হওয়া ৬১তম বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইভান্স। শেষ পর্যন্ত নয়টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৬২ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইভান্স।
অর্ধশত রানের স্বাদ নেয়া ডসেট অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। তাঁর ৪১ বলের ইনিংসে দুইটি চার ও তিনটি ছক্কা ছিল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইভান্স-ডসেটের ৮৩ বলে ১৪৮ রানের সুবাদে তিন উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী। কুমিল্লার পক্ষে ২০ রানে দুইটি উইকেট নেন ইংল্যান্ডের লিয়াম ডসন।
জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরুর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আনামুল হক। ৩৪ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন এই দুজন। কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হয়ে ২৫ রান করে তামিম সাজঘরে ফিরে গেলে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা।
এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে আরও বড় জুটির চেষ্টা করেন এনামুল হক। এই জুটি ৩০ রানের বেশি দলকে এনে দিতে পারেননি। কুমিল্লার দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আনামুল। ২৩ বলে ২৬ রান করে ডসেটের শিকার হন তিনি।
এরপরে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতি দিয়ে যাওয়া-আসা করেন। ফলে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১০ বাকী রেখেই ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লা।
পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি ১৯, ডসন ১৭ এবং অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমান ১৫ রান করে করেন। রাজশাহীর কামরুল ইসলাম রাব্বি ১০ রানে চারটি উইকেট নেন। ডসেট দুই ওভারে ১৫ রানে দুইটি উইকেট পেয়েছেন।
