loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ইন্টারনেটের সাহায্যে গবাদিপ্রাণি বীমা দেবে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা


ইন্টারনেটের সাহায্যে গবাদিপ্রাণি বীমা দেবে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা

সূর্যমুখী লিমিটেড গত নয় বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে জড়িত - যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন। সম্প্রতি সুর্যমুখী লিমিটেড ও ফিনিক্স ইনসিওরেন্স তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সবযন্ত্রে ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাপ্সের মাধ্যমে প্রাণির জাত উন্নয়ন, সফল প্রজনন, তথ্য সংরক্ষণ, গবাদিপশু পালন ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গবাদিপ্রাণির বীমা-সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। UKaid এর সমর্থনে ও Business Finance for the Poor in Bangladesh (BFP-B) -এর সহযোগিতায় Creating Cattle Insurance Market by Radio Frequency Identification (RFID) Tracking in Bangladesh নামের প্রকল্পের ফসল হিসেবেই সূর্যমুখী প্রাণিসেবা আত্মপ্রকাশ করেছে।

প্রযুক্তিনির্ভর এই প্রাণিবীমা প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গত ২৩ জানুয়ারি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স, ফার্মগেটে বাংলাদেশে প্রাণিবীমায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে সূর্যমুখী লিমিটেড ও ফিনিক্স ইন্সিওরেন্স। দামপাড়া, পারাগ্রাম, আশুলিয়াতে সূর্যমুখীর গবেষণা ও উন্নয়ন খামারে ২৪ জানুয়ারিও দিনব্যাপী ব্যবহারিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

সেমিনারের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ডঃ নাথু রাম সরকার সূর্যমুখী প্রাণিসেবার সাফল্য কামনা করে বলেন যে, “এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য জরুরি ও লাগসই। বাংলাদেশ সরকার ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট সূর্যমুখীর এই প্রযুক্তিকে আগ্রহের সঙ্গে দেখবে।” 

তবে এই প্রযুক্তি যাতে কৃষকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং সরকার ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের পরিপূরক হয়, সেই বিষয়ে উদ্যোক্তাদের নজর রাখতে আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারে সূর্যমুখী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হক বলেন “সূর্যমুখী প্রাণিসেবা প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসাবে একটি বায়োসেন্সর গবাদি প্রাণীর পাকস্থলিতে স্থাপন করানো হয়। এই বায়োসেন্সর বা বোলাস প্রাণির পাকস্থলি থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণ (RFID) প্রক্রিয়ায় তথ্য তৈরি ও ক্লাউডে  প্রেরণ করে। এই বোলাস ও আনুষাঙ্গিক প্রযুক্তি অস্ট্রিয়ার smaXtec কোম্পানির তৈরী।”  

নতুন প্রযুক্তির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন “স্ম্যাক্সটেক বোলাস গবাদি প্রাণির পাকস্থলিতে অন্তত পাঁচ বছর কার্যকর থাকে এবং গবাদি প্রাণীর দেহে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। যুক্তরাষ্ট্রের Food and Drug Administration (FDA) ও Federal Communications Commission এবং জার্মানির German Agricultural Society (DLG) ল্যাবরেটরি থেকে এই প্রযুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।”

সেমিনারের বিশেষ অতিথি বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির সূর্যমুখী প্রাণিসেবা সম্পর্কে জানার পরে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি সব জায়গায় সবাইকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তৈরি থাকতে বলি। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম যে সূর্যমুখী প্রাণিসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে চতুর্থ বিপ্লব চলে এসেছে। এতে কি নেই? সব যন্ত্রে ইন্টারনেট, মেশিন লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং- সব।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফজলুল কাদের, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রোগ্রাম), পিকে এস এফ, মোঃ আরাফাত হোসেন, চ্যালেঞ্জ ফান্ড ম্যানেজার, বি এফ পি- বি এবং রিচার্ড শোবের, ব্যবস্থাপক, ব্যবসা উন্নয়ন, স্ম্যাক্সটেক।

সূর্যমুখীর গবেষণা ও উন্নয়ন খামারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনজিও এর ৪০ জন প্রাণী চিকিৎসক ও প্রাণী পালন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে ব্যবহারিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ব্যবহারিক কর্মশালাটি সরাসরি অষ্ট্রিয়ান প্রতিষ্ঠান স্ম্যাক্সটেক-এর বিশেষজ্ঞ রিচার্ড শোবেরের তত্ত্বাবধায়নে হয়। এই কর্মশালায় কিভাবে বোলাস প্রাণির পাকস্থলিতে প্রবেশ করাতে হয়, এই প্লাটফর্ম সফলভাবে স্থাপন করতে কি কি হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার প্রয়োজন এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

Loading...