বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ২৮ জানুয়ারি, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৮৬/৬, ২০ ওভার (রনি ৫২, পোলার্ড ৩৭*, রেজা ২/৩২)
রংপুর রাইডার্স: ১৮৯/২, ১৮.২ ওভার (ডি ভিলিয়ার্স ১০০*, হেলস ৮৫*, রাসেল ২/৩০)
ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: এবি ডি ভিলিয়ার্স (রংপুর রাইডার্স)
এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ো সেঞ্চুরি ও অ্যালেক্স হেলসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারালো রংপুর রাইডার্স। রংপুরের ইনিংসে দ্রুত দুই উইকেট পড়লেও এই দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে জয় সহজ হয় মাশরাফিদের। এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো রংপুর। ১০ ম্যাচে ৬ জয় ও চার হারে দলটির পয়েন্ট ১২।
প্রথমে ব্যাট করে ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে। জবাবে চার বল বাকি থাকতে দুই উইকেট হারিয়ে ১৮৯ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৪তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইট। যেখানে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি রংপুরের। দলীয় মাত্র পাঁচ রানেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। এবারের আসরে অফফর্মে থাকা ক্রিস গেইল ছয় বলে মাত্র এক রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন। দ্বিতীয় ওভারের পরের বলেই শূন্য রানে এই ক্যারিবিয়ান ফেরান ফর্মে থাকা রাইলে রুশোকে।
কিন্তু এরপরের গল্পটা শুধুই অ্যালেক্স হেলস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সময়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঢাকার বোলারদের পিটিয়ে ১৮৪ রান তোলেন তাঁরা। ৫০ বলে আটটি চার ও ছয়টি বিশাল ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। অন্যিদিকে ৫৩ বলে আটটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৮৫ করে হেল্সও অপরাজিত থাকেন।
বিপিএলের এবারের আসরে ডি ভিলিয়ার্সেরসহ মোট পাঁচটি শতরান হলো। এর আগে লরি ইভান্স, অ্যালেক্স হেলস, রাইলে রুশো ও এভিন লুইস সেঞ্চুরি করেছেন। ডি ভিলিয়ার্সের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি।
এর আগে রনি তালুকদারের অর্ধশত রান ও অন্য ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।
উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তোলেন হজরতউল্লাহ জাজাই ও সুনীল নারাইন। ধীরে ব্যাট করা জাজাই ১৮ বলে ১৭ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হন। ১৯ বলে তিনটি চার ও দুইটি ছক্কায় ২৮ করে নাহিদুল ইসলামের বলে বিদায় নেন নারাইন।
মাঠে নেমে ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২ বলে চারটি চারে ২৫ করেন তিনি। মাশরাফির বলে আউট হওয়া ১৪ রান করা আন্দ্রে রাসেলকে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান রেজা।
দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটা আসে রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে। ৩২ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ করে তিনি শফিউল ইসলামের বলে অ্যালেক্স হেলসকে ক্যাচ দেন। পরে শহীদুল ইসলামের বলে ইনসাইডেজ বোল্ড হন এক রান করা শুভাগত হোম। ২৩ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন কাইরন পোলার্ড।
রংপুরের হয়ে রেজা দুটি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন মাশরাফি, নাজমুল, শফিউল ও শহীদুল।
এই আসরে দু’দলের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস।
