loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ঈদ-নববর্ষের ছুটি শেষে অফিস খুলেছে

  • লিভারপুলের পরে আর্সেনালের পরাজয়ে ম্যানসিটিই শীর্ষে

  • বায়ার্ন রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে লেভাকুজেনের বুন্দেসলিগা জয়

  • শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরণ

  • আনন্দমুখর পরিবেশে বঙ্গাব্দ-১৪৩১ বরণ-উৎসব উদযাপিত

সিলেটকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী


সিলেটকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ৩০ জানুয়ারি, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট সিক্সার্স: ১৮৯/৫, ২০ ওভার (পুরান ৭৬*, সাব্বির রহমান ৪৫, রাব্বি ২/৩০)
রাজশাহী কিংস: ১৯০/৫, ১৮ ওভার (ইভান্স ৭৬, দোয়েশ্চেত ৪২, তানভীর ২/২৭)
ফলাফল: রাজশাহী কিংস পাঁচ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: লরি ইভান্স (রাজশাহী কিংস)

সিলেট সিক্সার্সকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের প্লে-অফ পর্বে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী কিংস। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের ৩৮তম ও লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজশাহী কিংস পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্সকে। এই জয়ে ১২ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে এখন রাজশাহী। এই হারে প্লে-অফের আগেই বিদায় নিতে হলো সিলেটের। ১১ খেলায় আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সিলেট।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনার লিটন দাসের উইকেট হারায় সিলেট। ছয় বলে ১০ রান করেন লিটন। এরপর বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন ও ইংল্যান্ডের জেসন রয়। ভালোভাবে শুরু করেও ব্যর্থ হয়েছেন এই দু’জন।

দুইটি করে চার ও ছক্কায় দুর্দান্ত খেলতে থাকা আফিফ ২৫ বলে ২৯ রান করে রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হন। আট বলে ১৩ রান করে রয় থামেন মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে। তাঁদের বিদায়ের পর সিলেটের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন সাব্বির রহমান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান। কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকারে পরিণত হওয়ার আগে সাব্বির ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন।

তবে শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় ছােটান পুরান। যেন চার-ছক্কার মেলা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। পুরানের তান্ডবে শেষ আট ওভারে ৯৪ রান পায় সিলেট। ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রান। ছয়টি করে চার ও ছক্কায় মাত্র ৩১ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করেন পুরান। ১০ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অলক কাপালি। রাজশাহীর কামরুল ইসলাম রাব্বি দুই উইকেট নেন।

প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ছাড়া বিপল্প ছিল না রাজশাহীর। ১৯০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু করতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লসের ব্যাটিং-এ রানের চাকা সচলই ছিল রাজশাহীর। কিন্তু দলীয় ৬৪ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে চার্লস অলোক কাপালির শিকার হয়ে বিদায় নিলে বড় জুটির প্রয়োজন হয় দলটির। কেননা ওই সময় ম্যাচ জিততে ৬৮ বলে ১২৬ রান দরকার ছিল। ওভার প্রতি রান প্রয়োজন ছিলো ১১’র কিছুটা বেশি।

এ-অবস্থায় মারমুখী হয়ে ওঠেন ক্রিজে থাকা ইংল্যান্ডের লরি ইভান্স ও নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডসেট। সিলেটের বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বল মোকাবেলা করে ১০৯ রান যোগ করেন ইভান্স ও ডসেট।

ডসেট তিনটি চার ও দুইটি ছক্কায় ১৮ বলে ৪২ রানে থামলেও, অর্ধশত রান তুলে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে আউট হন ইভান্স। তাঁর ৩৬ বলের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও দুইটি ওভার বাউন্ডারি ছিল। 

দলীয় ১৭৩ রানে ডসেট ও ১৭৭ রানে ইভান্স আউট হলেও জিততে মোটেই বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। দুই ওভার বাকী রেখেই জয় পায় দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার আট ও সৌম্য সরকার দুই রানে অপরাজিত থেকে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন। 

সিলেটের পাকিস্তানী খেলোয়াড় সোহেল তানভীর ও অলক কাপালি দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন।

Loading...