loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্স, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের অভিষেক


বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্স, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের অভিষেক

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্স, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের উদ্যোগে গতকাল আইইবি সম্মেলন কক্ষে চ্যাপ্টারের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী ও পরিকল্পনাবিদ জিয়া হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট প্ল্যানার্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. এ কে এম আবুল কালাম।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় এবং বিগত কমিটির বিদায়ী চেয়ারম্যান ও সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পরিকল্পনাবিদ আলী আশরাফের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সভা শুরু হয়। সভায় নতুন কমিটিকে পরিচিত করানো হয়।

শুরুতে সঞ্চালক শাহীনুল ইসলাম খান ২০৫০ সালের চট্টগ্রাম মহানগরীর স্বরূপ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্টে একটি উপস্থাপনা করেন। প্রধান অতিথি জিয়া হোসাইন বলেন, পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন ছোট হলেও ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে কাজের অনেক সুযোগ। চট্টগ্রামের মতো একটা দ্রুত বর্ধনশীল নগরীর সঠিক বিকাশের জন্য নগর পরিকল্পনা একটি অনিবার্য অনুষঙ্গ - যেখানে পরিকল্পনাবিদরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারেন। সরকারের গ্রামকে শহরের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলার কর্মসূচি সাফল্যমন্ডিত করার ক্ষেত্রে পকিল্পনাবিদেরাই অগ্রণী ভুমিকা পালন করবেন। পরিকল্পনাবিদদের ভবিষ্যত-দ্রষ্টা হিসেবে কাজ করতে হবে।

ড. এ কে এম আবুল কালাম বলেন, নগরের প্রয়োজনেই পরিকল্পনাবিদদের সংগঠিত হওয়া প্রয়োজন। সুন্দর নগর, সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদদের ভুমিকা অপরিসীম। ঢাকার পরে চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে পরিকল্পনাবিদদের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিকল্পনাবিদেরা তাঁদের ভুমিকা পালন করতে পারলে বাংলাদেশে অপরিকল্পিত শহর আর গড়ে উঠবে না।

সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনাবিদ জেরিনা হোসেন বলেন, ১৯৬১ সালে সিডিএ’র অধীনে প্রথম মাস্টার প্ল্যান তৈরির পর বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকবার মাস্টার প্ল্যান করা হয়। কিন্তু বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে না পারার কারণে এর সঠিক প্রয়োগ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সিডিএ মেট্রোরেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। নগরের সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য এটি খুবই আশার কথা। তবে নগরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করার আগে মেট্রোরেলের জরিপ কাজ শেষ করা প্রয়োজন। অন্যথায় মেট্রোরেলের পরিপূর্ণ ব্যবহার কঠিন হয়ে পড়বে। জরিপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ব্যাপারে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান নাজমুল লতিফ সোহাইল, চুয়েট-এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ড. আসিফুল হক এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্স কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহম্মদ খান।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...