loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম সিরি আ শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

চিটাগংয়ের বিদায়, দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ঢাকা


চিটাগংয়ের বিদায়, দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চিটাগং ভাইকিংস: ১৩৫/৮, ২০ ওভার (মোসাদ্দেক ৪০, ডেলপোর্ট ৩৬; নারাইন ৪/১৫)
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৩৬/৪, ১৬.৪ ওভার (থারাঙ্গা ৫১, নারাইন ৩১, খালেদ; ৩/২০)
ফলাফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ছয় উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: সুনিল নারাইন (ঢাকা ডায়নামাইট্স)

চিটাগং ভাইকিংসকে হারিয়ে ষষ্ঠ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলা নিশ্চিত করলো গতবারের রানার্স-আপ ঢাকা ডায়নামাইট্স।  সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) টুর্নামেন্টের এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা ছয় উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংসকে। ফলে এবার এই পর্ব থেকেই বিদায় নিলো মুশফিকুর রহিমের চিটাগং।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় কোয়ালিফাইং ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারানোয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সরাসরি ফাইনালে খেলবে।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় চিটাগং। ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন চিটাগং ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। মারমুখী মেজাজে রান তুলছিলেন তিনি। তাকে যথার্থ সঙ্গ দিচ্ছিলেন আরেক ওপেনার ইয়াসির আলি। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি ইয়াসিরের। ঢাকার পেসার রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আট রান করা ইয়াসির।

এরপর তিন নম্বরে নামা সাদমান ইসলামকে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজে মনোযোগী হন ডেলপোর্ট। ২৭ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডেলপোর্ট। রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৬ রান করেন ডেলপোর্ট।

৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো চিটাগং-কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়ে অধিনায়ক মুশফিকের ওপর; কিন্তু তিনি এবার ব্যর্থ হয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার সুনিল নারাইনের ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে একটি চারে ছয় বলে আট রান করেন মুশফিক।

অধিনায়কের বিদায়ের পর এক প্রকার ধ্বসই নামে চিটাগং-এর ইনিংসে। তিন উইকেটে ৭৬ রান থেকে সাত উইকেটে ১০৯ রান হয় স্কাের শিটে। ফলে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছানোটাই কঠিন হয়ে যায় দলটির জন্য। কিন্তু শেষদিকে, ব্যাট হাতে বুদ্ধিদীপ্ত একটি ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ বলে ৪০ রান তুলে চিটাগংকে কিছুটা সম্মানজনক (১৩৫ রান) স্কোর এনে দেন মোসাদ্দেক। ঢাকার পক্ষে এবারের আসরে নিজের সেরা ১৫ রানে চার উইকেট নেন নারাইন।

দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিতের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ঢাকার ব্যাট হাতে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। মারমুখী মেজাজে শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারাইন। ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ বলে ৩১ রান তুলে খালেদ আহমেদের শিকার হন তিনি। অপর প্রান্তে ধীর গতিতে ছিলেন আরেক ওপেনার শ্রীলংকার উপুল থারাঙ্গা।

তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে রানের চাকা দ্রুতই ঘুরিয়েছেন থারাঙ্গা। তাই ১০ ওভার শেষে ৮৮ রানে পৌঁছে যায় ঢাকার ইনিংস। তবে একাদশ ওভারের প্রথম দু’বলে তিন নম্বরে নামা রনি তালুকদার ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে বিদায় করে চিটাগং’কে খেলায় ফেরার পথ দেখান খালেদ। রনি ১৩ বলে ২০ ও সাকিব শূন্য রানে ফেরেন।

এরপরও থারাঙ্গার ব্যাটে ভর করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো ঢাকা। আগের ম্যাচে ৪২ রান করে সেরা খেলোয়াড় হওয়া থারাঙ্গা এবার অর্ধশত রান করে আউট হন। সাতটি চারে ৪৩ বলে ৫১ রান করা থারাঙ্গা শিকার হন নাঈম হাসানের।

দলীয় ১১২ রানে থারাঙ্গা যখন ফিরে যান, তখন জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। দলের বাকী প্রয়োজনটুকু পরবর্তী সময়ে জুটি বেঁধে মিটিয়েছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড। নুরুল ২০ ও পোলার্ড সাত রানে অপরাজিত থাকেন। তখনও ম্যাচের ২০ বল বাকী ছিলো। চিটাগং’এর খালেদ ২০ রানে তিন উইকেট পেয়েছেন।

Loading...