অবশেষে রংপুর বাধা টপকালো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের লিগ পর্বের দু’টি ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের কাছে ১০০ রানে নিচে অলআউট হয়ে পরাজিত হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে একেবারেই ছাড় দেয়নি কুমিল্লা। আট উইকেটের জয়ে ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেছে দলটি।
অন্যদিকে ফাইনালের জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ডায়নামাইট্স-এর মুখোমুখি হতে হবে রংপুরকে।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার এভিন লুইস ও তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটি থেকে ৩৫ রান আসে। নিজের ১৭ রানে মাশরাফির বলে বলে আউট হন তামিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস।
দু’জনের ব্যাট ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কুমিল্লা। রংপুরের বোলারদের পুরোপুরি শাসন করতে থাকেন লুইস ও বিজয়। তাঁরা গড়েন ৯০ রানে জুটি। ৩২ বলে ৩৯ রান করে দলীয় ১২৫ রানে শফিউলের বলে বোল্ড হন বিজয়।
কিন্তু এভিন লুইস এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর কাজটি করেন। ৫৩ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন লুইস। সামসুর ১৫ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফের উইকেট হারায় রংপুর। এরপর ব্যক্তিগত তিন রানে মোহাম্মদ মিঠুন রান আউট হন। তবে একপাশে উইকেট আকড়ে ছিলেন ক্রিস গেইল।
নবম ওভারে সঞ্জিত সাহার বলে ক্রিস গেইলের ক্যাচ ফেলে দেন মেহেদী হাসান। জীবন পেয়েও ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং-যন্ত্র। পরের ওভারেই মেহেদী হাসানের বলে থিসারা পেরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৬৭ রানে প্যাভিলিয়নের ফেরেন তিনি। রবি বোপারাও ফিরে যান দ্রুত। পঞ্চম উইকেটে রাইলে রুশোর সাথে জুটি বাঁধেন বেনি হাউয়েল।
ত্রয়োদশ ওভারে আফ্রিদির বলে রুশোর ক্যাচ ফেলে দেন ওয়াহাব রিয়াজ। এর সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগায় পঞ্চম উইকেট জুটি। ৭০ রান আসে রুশো-হাউয়েলের ব্যাট থেকে। রুশো ৩১ বলে ৪৪ রান করেন। অন্যদিকে বেনি হাউয়েল পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেললে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর।